• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী


জুয়েইরিযাহ মউ ডিসেম্বর ১২, ২০১৬, ০৪:০৯ পিএম
আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী

ঢাকা: বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম আয়োজিত ১৪তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হয়েছে গত ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা রাতের শেষে। শনিবার বিকাল ৪:৩০টায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সমাপনীঅনুষ্ঠানেপ্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রীবাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর এমপি। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিদেশী অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. শি. ফি, গ্যারিন নুগ্রহ, নীলোৎপল মজুমদার, চালিদা উয়াম্বুমরনজিৎ, ড. ধাম্মিকা দিশানায়াকা, আজার ফারামারজি, সৈয়ন কিম, সার্গেই আনেশকিন সহ দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকাররা । আরো উপস্থিত ছিলেন ২০১৬ সালের ১৪তম আসরের উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান, নাট্যব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্রকার নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু এবং উৎসব পরিচালক সৈয়দ ইমরান হোসেন কিরমানী, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন রাজু সহ বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের নেতৃবৃন্দ ।

১৪তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে সমাপনীতে প্রথমে বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালক সৈয়দ ইমরান হোসেন কিরমানী । তিনি বক্তব্যে দেশ বিদেশ হতে আগত অতিথিদের  ধন্যবাদ জানান । তিনি বলেন, ‘সবার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিই এবারের উৎসবটিকে পরিপূর্ণতা দান করেছে।’

অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে উৎসবে আগত সকল বিদেশি অতিথিকে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ১৪তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ ও মুক্তচলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী দিনে উৎসবে প্রদর্শিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ৪টি ক্যাটাগরিতে ৬টি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

১৪তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব এ ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন-ফিকশন বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয় রাশিয়ার চলচ্চিত্রকার জর্জ পরোটভ পরিচালিত “ফ্যামিলি অফলাইন”। একই বিভাগে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হয়েছে ইরানীয়ান চলচ্চিত্রকার ইসমায়েল মোনসেফ পরিচালিত “আর্দাক”।

ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন-ফিকশন বিভাগে জুরির দায়িত্ব পালনকরেন  গ্যারিন নুগ্রহ (চেয়ারপার্সন) (ইন্দোনেশিয়া), অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম (বাংলাদেশ), আজার ফারামারজি (ইরান)। ১৪তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা, ২০১৬ এর পক্ষ থেকে বিজয়ী শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকারকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং নগদ  ১ হাজার  ইউ.এস ডলার  প্রদান করা হয় । স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত  চলচ্চিত্রকারকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন এর ডকুমেন্টারি বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকার সাইফুল ওয়াদুদ পরিচালিত তথ্য চিত্র “ঝলমলিয়া- দ্য স্যেকরেড ওয়াটার”  । ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন-ডকুমেন্টারি ক্যাটাগরিতে জুরির দায়িত্ব পালন করেন  নীলোৎপল মজুমদার (চেয়ারপার্সন) (ভারত), মার্শেল মাইগা (জার্মানি) ,মাহমুদুল হোসেন (বাংলাদেশ)। বিজয়ী শ্রেষ্ঠ  চলিচ্চিত্রকারকে ১৪তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা, ২০১৬ এর পক্ষ থেকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবংনগদ  ১ হাজার  ইউ.এস ডলার  প্রদান করা হয় ।

নেটপ্যাক 

 ফিকশন এবং ডকুমেন্টারি মিলে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত  হয় আফগান চলচ্চিত্রকার সাদাম ওয়াহিদি পরিচালিত “ম্যারি মাদার”।নেটওয়ার্ক ফর এশিয়ান সিনেমা ক্যাটাগরিতে মাননীয় জুরির দায়িত্ব পালন করেন চালিদা উয়াম্বুমরণজিৎ  (চেয়ারপার্সন) (থাইল্যান্ড), ড. ধাম্মিকা দিশানায়াকা(শ্রীলংকা),  গোলাম রাব্বানী বিপ্লব (বাংলাদেশ)।নেটপ্যাক  এর পক্ষ থেকে বিজয়ী শ্রেষ্ঠ চলিচ্চিত্রকারকে ক্রেস্ট ও  সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

তারেক শাহরিয়ার বেস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট শর্ট সেকশানে বাংলাদেশী তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চলচ্চিত্র সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকার তাসমিয়াহ আফরিন মৌ পরিচালিত “স্টেটম্যান্ট আফটার মাই পোয়েট হাজবেন্ডস ডেথ”। বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকার মোঃ আবিদ মল্লিক পরিচালিত “পথ” চলচ্চিত্রটি একই বিভাগে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হয়।

তারেক শাহরিয়ার বেস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট শর্ট ক্যাটাগরিতে মাননীয় জুরির দায়িত্ব পালন করেন জনাব জাহিদুর রহিম অঞ্জন  (চেয়ারম্যান) , ড. সাজেদুল আউয়াল ও শবনম ফেরদৌসি। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে এ কদিন মেতে ছিলেন চলচ্চিত্রমোদী সকলে। ঢাকার ছয়টি ভেন্যুতে নিয়মিত সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি মোট তিনটি সেশনে প্রদর্শিত হয়েছে নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো। দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শন ছাড়াও দুটি মাস্টার ক্লাস এবং দুটি সেমিনারেরও আয়োজন করা হয় এ উৎসবে।

উৎসব এর তৃতীয় দিন যথারীতি ঢাকার ৬টি ভেন্যুতে এবং রাজশাহীর ২টি ভেন্যুতে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয়েছে মাস্টার ক্লাস । বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে মাস্টার ক্লাসের সেশনটি পরিচালনা করেন ভারতের মনিপুর স্টেস ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট এর ডিরেক্টর প্রফেসর নীলৎপল মজুমদার। বক্তব্যে তিনি বলেন,‘শুধু টাকা হলেই ছবি তৈরি করা যায় না।’ বর্তমান সময়ে আর্ন্তজাতিক ফিল্মের ব্যাপারে বলতে গিয়ে নীলৎপল মজুমদার বলেন, সবাই চায় ভালো কাজের সাথে যুক্ত থাকতে। আর আর্ন্তজাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালগুলো ভালো কাজের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ায়। আজকাল অনেক ফাউন্ডেশন হয়েছে যারা কিনা এক দেশ থেকে অন্য দেশের নির্মাতাদের ছবি নির্মাণের জন্য অর্থ দিয়ে থাকেন। তারা চান রুচিসম্পন্ন, বিষয় বস্তু আছে এমন কাজগুলো সারা বিশ্ব দেখুক।

তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে বলেন , কেউ একজন একটি ছবি বানালেই সে ফিল্ম মেকার হয়ে যায়না। ফিল্ম মেকার শব্দটি বিশাল। এর ওজন আছে। গল্পের প্রতি, পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রতি কিছু দায়বদ্ধতা থাকতে হয়। এই মাস্টার ক্লাসটি বিকেল ৪ টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভিন্ন ডকুমেন্টরিও প্রদর্শিত হয়।

এবারের উৎসবে রেট্রোসপেক্টিভ বিভাগে প্রদর্শিত হয় ইন্দোনেশিয়ান চলচ্চিত্রকার গ্যারিন নুগ্রহ-এর পাঁচটি চলচ্চিত্র। ৭ ডিসেম্বর উৎসবের চতুর্থ দিন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সেমিনার কক্ষে ‘গ্যারিন নুগ্রহ এন্ড হিজ সিনেমা’ শীর্ষক একটি মাস্টারক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। মাস্টার ক্লাসটি পরিচালনা করেন ইন্দোনেশিয়ান চলচ্চিত্রকার গ্যারিন নুগ্রহ। একজন পরিচালকের সঙ্গে সিনেমার সম্পর্ক পিতা-সন্তানের সম্পর্কের মতো বলে উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে অভিমত ব্যক্ত করে তিনি বলেন – ‘সিনেমার সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান হল গল্প এবং ঐ গল্পের বৈচিত্রময় উপস্থাপনার ধরন- যা বাংলাদেশী সিনেমায় রয়েছে।’

তাঁর ভাষ্যমতে, এশিয়ার সিনেমা দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের সিনেমা থেকে পিছিয়ে থাকলেও আমি নিশ্চিত যে আমাদের এই অঞ্চলের সিনেমা খুব শীঘ্রই বিশ্ব সিনেমায় নিজস্ব স্থান করে নিবে। যদি আমরা আমাদের কাজের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই তাহলে প্রতিটি জিনিসের মাঝেই আমরা গল্প খুঁজে পাবো। আমরা নিজেকে একজন চলচ্চিত্রকারের পাশাপাশি কৃষকও ভাবতে পারি। একজন কৃষক হিসেবে আমি আপনাদের বলব- আমাদের মাটি, ফসল, তথা প্রকৃতি অনেক বৈচিত্রময়। প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে আমরা যদি পর্যবেক্ষণ করি এবং নিজেদের মাঝে ধারণ করি তবে আমাদের শিল্পস্বত্তা বিকশিত হবে। 

দু’টো সেমিনারের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সেমিনার রুমে। চীনের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ড. শি ফী চলচ্চিত্র পরিচালনা বিষয়ক শিক্ষাকতায় অর্ধশতাব্দী পার করেছেন। এখানে তিনি তাঁর শিক্ষকতা ও পরিচালনা জীবনের নানান অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এই ‘মাস্টার ক্লাস’-এ উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ড ফিল্ম আর্কাইভের প্রধান, চলচ্চিত্র ও প্রামান্য চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্র গবেষক, চলচ্চিত্রকর্মীসহ চলচ্চিত্র বোদ্ধারা ।

১৪ তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা ২০১৬ –এর ৭ম দিনের বিশেষ আয়োজনে ‘সরকার ও মুক্ত চলচ্চিত্র’ শীর্ষক ন্যাশনাল সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আর্কাইভ রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ১৪ তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা ২০১৬ এর উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্রকার নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। এছাড়া সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন রাজু ।

ড. জাকির হোসেন রাজু বলেন, ‘আমরা যখন এই শব্দবন্ধটা দেখি ‘রাষ্ট্র ও মুক্ত চলচ্চিত্র’ তখন কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব চলে আসে, রাষ্ট্র কি মুক্ত চলচ্চিত্রকে কখনো সমর্থন দেবে, বিপরীত ক্রমে বললে মুক্ত চলচ্চিত্র যদি রাষ্ট্রের বন্ধনীতে থাকে তাহলে কি সেটা মুক্ত চলচ্চিত্র হতে পারবে ? কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ‘রাষ্ট্র’ এবং ‘সরকার’ ওতপ্রোতভাবে জড়িত । বলা যায় একটি অন্যটির বহিঃপ্রকাশ।’

সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘ মুক্ত চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে মানুষের মনের স্বাধীনতার বিষয়টি । কারণ আমার মন যদি স্বাধীন না হয়, আমার মন যদি সার্বভৌম না হয় তবে আমার চলচ্চিত্রেরও স্বাধীন প্রকাশ হবে না । তবে শুধু সেই প্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় এটি আরো একটু বিস্তৃত, ঐ চলচ্চিত্রটি যে মানুষ দেখবে সেখানেও সার্বভৌমত্বের বিষয়টি থাকতে হবে ।’

এই সেমিনারে সেদিন আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট প্রামাণ্য চলচ্চিত্রকার মানজারেহাসীন মুরাদসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্রকাররা।

এছাড়াও এ উৎসবে বাংলাদেশের কয়েকটি পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হল। এর মধ্যে ছিল নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন নির্মিত ‘জালালের গল্প’, চলচ্চিত্র শিক্ষক ও নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন নির্মিত ‘মেঘমল্লার’, নির্মাতা আকরাম খান নির্মিত ‘ঘাসফুল’, নির্মাতা ও শিক্ষক মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত ‘অনিল বাগচীর একদিন’।

এছাড়াও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র বিষয়ক শিক্ষক মানজারেহাসীন মুরাদ নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘এখনো ’৭১’ এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার ৭ ডিসেম্বর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে।

আড্ডা হৈ-হুল্লোড় আর চলচ্চিত্র নিয়ে জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রাঙ্গন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র কিংবা জাতীয় জাদুঘর আর শিল্পকলা একাডেমী এ কদিন উৎসবমুখর আমেজে মেতে ছিল। আগামী বছরের জন্য প্রতীক্ষা নিয়ে গতকাল রাতে শেষ হল আট দিনব্যাপী চলতে থাকা এ উৎসবের আয়োজন।

ছবি: আবিদ মল্লিক

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএম/এমটিএল

Wordbridge School
Link copied!