• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
এমপিওভুক্তি নিয়ে দুই কমিটির যৌথসভা সোমবার

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২১, ২০১৮, ১১:১০ পিএম
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের

ঢাকা : বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা দুই কমিটির প্রথম যৌথসভা পিছিয়েছে। আগামী সোমবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (ব্যানবেইস) এই সভা হবে।

এদিকে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন জানিয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির কাজ শুরু করলেও পুরো দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের চলমান লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। প্রথমে আগামী রোববার এই যৌথসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২১ জুন) বিকালে এই তারিখ পরিবর্তন করা হয়। এই দুই কমিটির মাধ্যমেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন গ্রহণ ও যাচাই-বাছাই করে সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে। তবে আন্দোলনরত সংগঠনটির নেতারা বলছেন, মন্ত্রণালয় নতুন নীতিমালার ভিত্তিতে হাজার খানেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কথা বলছে। কিন্তু তাদের দাবি পুরনো নীতিমালা অনুযায়ী স্বীকৃতি পাওয়া সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী হাজার খানেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। সফটওয়্যার তৈরির পর শিগগিরই অনলাইনে এমপিও-প্রত্যাশী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। দীর্ঘ প্রায় আট বছর পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল।

বর্তমানে সারা দেশে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোয় শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজের জন্য গত বুধবার একটি বাছাই কমিটি এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য আরেকটি কারিগরি কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে নয় সদস্যের ‘প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটি’।

এই কমিটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। প্রতিষ্ঠানের আবেদনের তথ্যে কোনো অনিয়ম বা অসামঞ্জস্য থাকলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। আর অনলাইনে আবেদন গ্রহণের জন্য ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. ফসিউল­াহর নেতৃত্বে করা হয়েছে আট সদস্যের কারিগরি কমিটি। এই কমিটি নীতিমালা অনুযায়ী শর্ত পূরণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করবে।

আবেদনগুলোর ডাটা প্রসেসিং কার্যক্রমও তদারক করবে এই কমিটি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্তুত করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরে গ্রেডেশন তালিকা ‘প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটির’ কাছে উপস্থাপন করবে এই কমিটি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!