• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আপন জুয়েলার্সের কালো টাকা খুঁজতে চিঠি


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১২, ২০১৭, ০৯:০৫ পিএম
আপন জুয়েলার্সের কালো টাকা খুঁজতে চিঠি

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক সাফাত আহমেদের ৬ দিন ও সাদমান সাকিফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আটক সাফাতের বাবা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ। এবার ছেলে সাফাত আহমেদসহ দিলদার আহমেদ ও আপন জুয়েলার্সের সকল ব্যাংক হিসাব তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংককে দিয়েছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি যে বহুল আলোচিত ধর্ষণের ঘটনাটি চাপা দিতে বিপুল অর্থ খরচের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আমরা এখন তদন্ত করে দেখছি এই অর্থের উৎস ডার্টি মানি (কালো টাকা) কি না। এ ছাড়া তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ‘অস্বচ্ছ’ কি না, তা–ও খতিয়ে দেখছি।’ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের(এনবিআর) নির্দেশেই শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। 

প্রসঙ্গত, রাজধানীর বনানীর একটি রেস্তোরাঁয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পরে গত ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন ওই দুই ছাত্রী। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এক পরিচিত ব্যক্তির জন্মদিনের পার্টিতে অংশ নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন তারা। বনানীর রেইনট্রি হোটেলের দুটি কক্ষে আটকে রেখে তাদের ধর্ষণ করা হয়।

এ ব্যাপারে দায়ের করা মামলার পাঁচ আসামি হলেন শাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ। বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে সিলেটে গ্রেপ্তার হন শাফাত ও সাদমান। শুক্রবার (১২মে) সকালে শাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়। সেখান থেকে তাদের আদালতে নেয়া হলে দুই জনকে রিমান্ডের আদেশ দেয়া হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/তালেব

Wordbridge School
Link copied!