ঢাকা: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক আত্মঘাতি গাড়িবোমা হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন। তবে সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, ২৪ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দেয়।
সোমবার(২৪ জুলাই) এ হামলার ঘটনা ঘটে। তালিবানরা এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে বলে একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থাকে জানান। তবে, সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় ওই কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশে রাজি হননি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিব দানিশ বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন কাবুলের পশ্চিম এলাকায় সকালে অফিসে যাওয়ার ব্যস্ত সময় খনি মন্ত্রণালয়ের কর্মচারিদের বহনকারী একটি বাসে ওই গাড়ি বোমা হামলা চালানো হয়। এই এলাকায় শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের লোকদের বাস। অতীতে আরো কয়েকবার এই এলাকায় প্রাণঘাতি হামলা হয়েছে।
তালিবানদের দুই গুরুত্বপূর্ণ জেলা দখল
আফগানিস্তানের ফারিয়াব ও গহর প্রদেশে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি জেলা দখল করে নিয়েছে তালিবানরা। স্থানীয় অধিবাসীরা তালিবানদের এ জয়ের ব্যাপারে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে তালিবানরা ফারিয়াব প্রদেশের কোহিস্তান জেলা দখলের জন্য অভিযান শুরু করে। মাত্র চার ঘণ্টার যুদ্ধের পর রোববার ভোররাত ২টার দিকে জেলার পতন ঘটে। এর ২২০ কি.মি. দূরে গহর প্রদেশের তায়ওরা জেলাও রোববার ভোরের দিকে তালিবানদের হাতে পতন ঘটে।
এদিকে তাওয়ারা দখলের পর ওই এলাকায় সরকারি হাসপাতালের বেশ কয়েকজন ডাক্তার ও সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে বলে প্রদেশের গভর্নর দাবি করলেও তালিবানরা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। জেলা দুটির পতনের পর সরকারি বাহিনীর অনেক সেনা তালিবানদের কাছে আত্মসমর্পন করেছে বলে জানা গেছে। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো সরকারের কাছে নতুন করে সেনাদল পাঠানোর জন্য আবেদন জানিয়েছে।
ফরিয়াব প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ সামি খাইখাও বলেন, আমাদের নতুন করে সেনা দলের প্রয়োজন ছিলো, কমান্ডো বাহিনীর দরকার ছিলো। কিন্তু তারা আসেনি। ফারিয়াব প্রদেশের সরকারি মুখপাত্র আব্দুল করিম উরিশ বলেন, আমরা আরো সৈন্য ও বিমান সহায়তার আবেদন জানিয়েছিলাম।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অবশ্য জানানো হয় যে সেখানে পর্যাপ্ত সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছিলো। সিইও আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ বলেন, জেলার পতন ঘটার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য লড়াই করেছিলেন। সেনাবাহিনীও লড়াই করেছে এবং তাদের অনেকে হতাহত হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে তালিবান ও আফগান সেনাবাহিনীর মধ্যে এই দুই প্রদেশে তীব্র লড়াই চলছে। তবে, সরকারি বাহিনীতে নেতৃত্বের অভাবকে যুদ্ধে ব্যর্থতার জন্য দায়ি করা হয়।
সামরিক বিশ্লেষক আতিকুল্লাহ আমারখিল বলেন, এই যুদ্ধের অবসান হতো। আমাদের প্রচুর উপদেষ্টা, সৈন্য ও কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু নেতৃত্বের অভাব রয়েছে সিনেটর সামি ফয়সাল বলেন, আফগানিস্তানকে নিরাপত্তা দিতে সরকারি কর্মকর্তারা ব্যর্থ হয়েছে। আফগানিস্তানের বাদাখশান, বাঘলান, কুন্দুজ, জাবুল ও হেলমন্দ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা দখল নিয়ে বর্তমানে তালিবান ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা
আপনার মতামত লিখুন :