• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আফগানিস্তানের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ টাইগারদের


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮, ০১:৪২ এএম
আফগানিস্তানের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ টাইগারদের

ছবি: এএফপি

ঢাকা: শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটেও অনেক উন্নতি করেছে আফগানিস্তান, তার প্রমাণ আরো একবার পাওয়া গেল। এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রশিদ খান মুজিব উর রহমানদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। ২৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪২.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। ফলে ১৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলকে স্বস্তি এনে দিতে পারেননি লিটন কুমার দাস ও অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ১৫ রানেই বিদায় নেন শান্ত। দুই রান পর একই পথে হাঁটেন লিটন কুমার দাস। ১৭ রানেই দুই উইকেট হারানো দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেছেন সাকিব আল হাসান ও মুমিনুল হক। কিন্তু এ জুটি স্থায়ী হয়নি। মুশফিকুর রহিমের জায়গায় সুযোগ পাওয়া মুমিনুল ৯ রান করেই সাজঘরে ফিরে যান।

সাকিবকে সঙ্গ দিতে পারেননি মোহাম্মদ মিথুনও। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই তার স্টাম্প উপড়ে নেন গুলবাদিন নাইব। ৪৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন ঘোর সঙ্কটে। এমন সময় সাকিবের সঙ্গে যোগ দিয়ে ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করেছেন ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রথম বাউন্ডারি হাঁকানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ব্যাটে-বলে ২০তম জন্মদিন রাঙিয়ে তোলা রশিদ খানের স্পিন ভেল্কিতে ৩৬ রানের জুটি গড়েই থামতে হয় সাকিবকে।

ইনিংস সেরা ৩২ রান করে সাকিব ফেরার পর মাহমুদউল্লাহও আর টিকতে পারেননি। ম্যাচসেরা রশিদ খানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২৭ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর দ্রুত ফিরে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, আবু হায়দার রনি ও রুবেল হোসেন। তাই মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এক পাশ আগলে রাখলেও কোনো লাভ হয়নি। ২৬ রানে অপরাজিত থেকে পরাজিত সৈনিক হিসেবে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ৯ ওভারে মাত্র ১৩ রানে দুই উইকেট নেন রশিদ খান। এ ছাড়া গুলবাদিন নাইব ও মুজিব উর রহমানও দুটি করে উইকেট পান।     

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আফগানিস্তানকে বড়সড় ধাক্কা মারেন অভিষিক্ত আবু হায়দার রনি। নিজের টানা দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের এই বাঁ-হাতি পেসার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট পায় বাংলাদেশ। আবু হায়দার রনির করা অফ স্টাম্পের বেশ খানিকটা বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কাভারে ধরা পড়েন ইহসানউল্লাহ। মোহাম্মদ মিঠুনের তালুবন্দী হওয়ার আগে আফগান ব্যাটসম্যান করেন ৮ রান। এরপর নিজের তৃতীয় ওভারে আবার উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশ বাঁ-হাতি পেসার রনি। রহমত শাহকে বোল্ড করে ফেরান তিনি।

এরপর দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মোহাম্মদ শাহজাদ ও হাসমতউল্লাহ শহিদি। তাদের ৯১ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। আবু হায়দার রনির হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেয়ার আগে ৪৭ বলে ৩৭ রান করেন মোহাম্মদ শাহজাদ। নিজের চতুর্থ ওভারে আবারও উইকেট তুলে নেন সাকিব। আজগর আফগানকে সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন তিনি।

এরপর ব্যাটে নতুন ব্যাটসম্যান সামিউল্লাহ সেনওয়ারিও ফিরেছেন সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে। তবে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন হাসমতউল্লাহ শহিদি। তুলে নিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। এই আফগান ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি আনেন পেসার রুবেল হোসেন। এরপর নিজের শেষ ওভারে বল করতে এসে সাকিব আফগানদের সপ্তম উইকেট তুলে নেন। আর নিজের নামের পাশে লেখান ৪ উইকেট।

বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মাঝে লড়াইয়ের পুঁজি জোগাড় করতে চেষ্টা করে আফগানিস্তান। সেই চেষ্টায় অনেকটা সফল রশীদ খান এবং গুলবদন নবী। ৯৫ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে কড়া চ্যালেঞ্চ ছুঁরে দিয়েছে তারা। এই জুটিতে ভর করেই ৭ উইকেটে ২৫৫ রান করে আফগানিস্তান। রশীদ ৩২ বলে ৫৭ এবং গুলবদন ৩৮ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ৪২ রান দিয়ে ৪টি এবং আবু হায়দার রনি ৫০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) আবু ধাবিতে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১৪তম আসরের ষষ্ঠ ও ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান অধিনায়ক আসগর আফগান। এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও  বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনির।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!