• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আফিফ জাদুতে শেষ চারের অপেক্ষায় রাজশাহী


ক্রীড়া প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৩, ২০১৬, ০৯:৪৭ পিএম
আফিফ জাদুতে শেষ চারের অপেক্ষায় রাজশাহী

ঢাকা : অফ স্পিনার আফিফের ঘূর্ণি জাদুতে শেষ চারে যাওয়ার সম্ভবনা টিকিয়ে রাখল রাজশাহী। অভিষেক ম্যাচেই এই অফ স্পিনার ২১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। আর তার বিস্ময়কর পারফরম্যান্সের পর চিটাগং ভাইকিংসকে ৬ উইকেটে হারালো রাজশাহী কিংস। এই জয়ে চিটাগং, খুলনা টাইটান্স ও রংপুর রাইডার্সের সমান ১২ পয়েন্ট রাজশাহীর। 

রোববার (৪ ডিসেম্বর) রংপুর ও খুলনার শেষ ম্যাচের পরেই নির্ধারিত হবে কোন তিন দল যাবে শেষ চারে। ইতোমধ্যে ঢাকা ডায়নামাইটস শীর্ষে থেকে প্রথম দল হিসেবে শেষ চারে পৌঁছে গেছে।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) আফিফের ঘূর্ণিতে রাজশাহী বিপক্ষে ৯ উইকেটে মাত্র ১১১ রান স্কোর গড়ে চিটাগং। সেটিও সম্ভব হয়েছে শোয়েব মালিকের ৫৪ বলে ৬৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলায়। ১১২ রানের জবাবে  জেমস ফ্রাঙ্কলিনের ২৭ বলে হার না মানা ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ১৩.৫ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী।

ম্যাচের ফলাফল যাই হোক, ম্যান অব দ্য ম্যাচ যে আফিফ হবেন সেটা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। বিপিএল যে কোনো অভিষিক্তর কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স আগে দেখেনি। আফিফের বোলিং (৪-১-২১-৫) বিপিএলের ইতিহাসের তৃতীয় সেরা। কোনো বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএলে এটাই সেরা ফিগার। সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সব রেকর্ডই আফিফের।

বিকেএসপির এই টিনএজারকে ড্যারেন স্যামিরা নিয়েছিলেন তাদের অস্তিত্ব রক্ষার ম্যাচে। চিটাগংয়ের কাছে হারলেই রাজশাহীর বিদায় আসর থেকে। আফিফের পারফরম্যান্সের পরও রাজশাহী হারলে তা হব দূর্ভাগ্যজনক।

আফিফের প্রথম শিকার ছিল জহুরুল ইসলাম। দ্বিতীয় উইকেটটি ছিল টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলের! ভাবা যায়! ৫ উইকেট পূরণ করা শেষ ওভারটি ডাবল উইকেট মেডেন! মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রূপকথার গল্পই তার অফ স্পিনে লিখেছেন আফিফ।

বিকেএসপির শিক্ষার্থী ও আসন্ন এশিয়া কাপে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ অধিনায়ক আফিফ বল পেলেন পঞ্চম ওভারে। ততক্ষণে তামিম ইকবাল (০) ও এনামুল হককে (৮) হারিয়েছে চিটাগং। আফিফ তার তৃতীয় বলেই জহুরুল ইসলামকে (১৩) তুলে নেন। চমকের পর চমক লাগিয়ে টানা ৩ ওভারে ৩ উইকেট তার।

দ্বিতীয় ওভারে গেইল (৫) আফিফের বলের লাইন ধরতে না পেরে বোল্ড। পরের ওভারে জাকির হাসান (৩) এলবিডাব্লিউর শিকার। ৩৭ রানে ৫ উইকেট নেই চিটাগংয়ের।

শোয়েব মালিক একপ্রান্ত ধরেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে বিপদ। ১২তম ওভারে নাজমুল ইসলাম তুলে নেন মোহাম্মদ নবিকে (১২)। পরের ওভারটি কোটার শেষ আফিফের। আসলেন। প্রথম বলেই এলবিডাব্লিউর শিকার সাকলাইন সজীব (১)। ৩ বল পর ইমরান খান (০) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৫ উইকেট শিকারের উল্লাস আফিফের। উৎসব রাজশাহীর। ৭০ রানে ৮ উইকেট নেই চিটাগংয়ের।

তবু যে রানটা ১০০ পেরুলো তার সব কৃতিত্বই শোয়েবের। দারুণ বিপদে নবম উইকেটে তাসকিন আহমেদকে (২) নিয়ে গড়লেন ৩০ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত শোয়েব অপরাজিত ৫৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় গড়া ৬৭ রানের ইনিংসে।

কিন্তু ওই সংগ্রটা চিটাগংয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাদের তো আর আফিফ নেই! ৩৭ রানের মধ্যে নুরুল হাসান (১২) ও মুমিনুল হককে (২১) হারায় রাজশাহী। ফ্রাঙ্কলিন আর সাব্বির ২৩ বলে ৪০ রানের জুটি গড়লেন। সাব্বির ৮ রানে বিদায় নিলেন। স্যামিও (৩) ফিরলেন। কিন্তু ফ্রাঙ্কলিন ২৩ বলে ফিফটি করেছেন। জয় নিয়ে ফিরেছেন। অস্তিত্বের লড়াই হয়ে যাওয়া ম্যাচে আফিফ বিস্ময়ের পর ফ্রাঙ্কলিন ঝড়ে রান রেট বাড়িয়ে রেখে বিপিএলে টিকে থাকল রাজশাহী।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম  

Wordbridge School
Link copied!