• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবারও বিপিএলে ফিক্সিং গন্ধ, ‘নিষিদ্ধ’ সানোয়ার-জুপিটার


ক্রীড়া প্রতিবেদক নভেম্বর ২৯, ২০১৬, ০২:৪৭ পিএম
আবারও বিপিএলে ফিক্সিং গন্ধ, ‘নিষিদ্ধ’ সানোয়ার-জুপিটার

ব্যাটে-বলে লড়াই ভালোভাবেই এগিয়ে চলছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ আসর। কিন্তু ফিক্সিংয়ের অভিযোগ সেটিতে বড় একটি ধাক্কাই দিলো। বিতর্কের শুরু রংপুর রাইডার্স থেকে বহিষ্কৃত ক্রিকেটার জুপিটার ঘোষের অভিযোগকে ঘিরে। জুপিটারকে নাকি তাঁর দলের ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। পরে যেটি অস্বীকার করে প্রতিবাদ জানিয়েছে রংপুরের ফ্র্যাঞ্চাইজি।

তাই বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসেছে বিসিবি। শুরু হয়েছে তদন্ত। শুধু তাই নয়, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং যিনি অভিযোগ করেন, দুজনকেই আসরটি চলাকালীন মাঠে ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে বিসিবি।

এ ব্যাপারে বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, 'একটা ইস্যু তৈরি হয়েছে। একজন খেলোয়াড় অভিযোগ করেছেন। তাই যে অভিযোগ করেছে এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ দুজনেই আপতত মাঠের বাইরে থাকতে বলেছি আমরা। অভিযোগটি সত্য না মিথ্যা,  তা প্রমান না হওয়া পর্যন্ত তাদের মাঠের বাইরে থাকাটই শ্রেয়।'

গত শনিবার বিসিবির কাছে জুপিটার অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর দলের ম্যানেজার নাকি তাঁকে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য প্রস্তাব দেন। ফিক্সিংয়ে রাজি হননি বলেই দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

অবশ্য রংপুর রাইডার্স এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করে, গত ৫ নভেম্বর অনৈতিক কাজে ধরা পড়ায় জুপিটারকে দল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। আর এই কারণেই সে দলকে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করছে। তা ছাড়া একটি মহল দলের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বাগেরহাট থেকে উঠে আসা খেলোয়াড় জুপিটার ঘোষ এবারই প্রথম বিপিএলে নাম লিখিয়েছেন। রংপুর তাঁকে দলভুক্ত করলেও একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি। বিপিএল শুরুর পরের দিনই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, এর আগেও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সানোয়ার হোসেনের বিপক্ষে উঠেছিল অভিযোগ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০’র দ্বিতীয় আসরে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের ক্রিকেটার আশরাফুল এবং দলটির মালিক সেলিম চৌধুরী এবং তার ছেলে সিহাব চৌধুরী হয়েছেন, সেই ঘটনায় ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের টিম ম্যানেজার সানোয়ার হোসেনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠিয়েছিলেন দলটির কোচিং স্টাফের একজন। 

টিম ম্যানেজার বলে ক্রিকেটারের হাতে সম্মানী এবং ভাতা তুলে দেয়ার দায়িত্ব অর্পিত হওয়ায় অনৈতিক প্রস্তাব তার পক্ষ থেকে দেয়া হতো বলেও মিডিয়ায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গঠিত ট্র্যাইবুন্যালে সে অভিযোগ হয়নি প্রমানিত। এবার একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে রংপুর রাইডার্সের টিম ম্যানেজার সেই সানোয়ারের বিপক্ষে। 

ফিক্সিংয়ের কেলেঙ্কারিতে প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিল বিপিএল। গত বছর থেকে পুনরায় চালু হয় টুর্নামেন্টটি। কিন্তু এক বছর পার না হতেই সেই ম্যাচ পাতানোর গন্ধ ভাসছে বাতাসে। ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন বিসিবির মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। বলেন, ‘অভিযোগ সত্য কিংবা মিথ্যা— যা-ই হোক না কেন, যেহেতু দুজনের নাম উঠে এসেছে, আমরা বিষয়টি আমলে নিয়েছি। বিপিএলকে কলঙ্কমুক্ত রাখতেই বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে কোচ-খেলোয়াড়সহ মোট নয়জনের নামে অভিযোগ তোলে আকসু। পরে তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয়ে নিষিদ্ধ হন মোহাম্মদ আশরাফুল। দুই বছরের স্থগিতাদেশ কাটিয়ে বর্তমানে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!