• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আবারো গোয়েন্দা কার্যালয়ে এসপি বাবুল আক্তার


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জুলাই ১১, ২০১৭, ০৭:১৬ পিএম
আবারো গোয়েন্দা কার্যালয়ে এসপি বাবুল আক্তার

চট্টগ্রাম: স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে আবারো চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে এসেছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি গোয়েন্দা কার্যালয়ে আসেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) কামারুজ্জামানের সঙ্গে মামলার তদন্তের প্রয়োজনে কথা বলার জন্য তিনি এসেছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামারুজ্জামান বলেন, মামলার বাদী হিসেবে আরো কিছু বিষয় তার কাছ থেকে জানা প্রয়োজনেই আমি তাকে আসতে বলেছি। বাবুল আক্তার তার কার্যালয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এর আগে, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা মামলা নিয়ে কথা বলতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে এসেছিলেন।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) কামারুজ্জামানের কক্ষে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে হাত মেলালেও কোনো ধরনের কথা বলেননি এসপি বাবুল আক্তার।

গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় মাহমুদা খানম মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় তিন জন মোটরসাইকেল আরোহী।

সে সময় পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় থাকা বাবুল চট্টগ্রামে ফিরে হত্যাকাণ্ডের পরদিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর বাইরে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে।

স্ত্রী হত্যার পর থেকে ঢাকার রামপুরা বনশ্রীতে শ্বশুরবাড়িতে দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন বাবুল। ওই সময়ে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নানা গুঞ্জন ছড়ায়।

এসময় শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আলাদা বাসায় ওঠেন বাবুল।

এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের চাকরি থেকে বাবুলকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন হয়। তাতে বলা হয়, বাবুল নিজেই চাকরি ছেড়েছেন।

মামলায় নয় আসামি মধ্যে মুসা ও কালু ছাড়া অন্যদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি এখন কারাগারে রয়েছেন। নুর নবী ও নুরুল ইসলাম রাশেদ নামে আরও দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!