• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আবাসন প্রকল্পের ৬০ পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন


ভোলা প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১১, ২০১৭, ০২:৪৮ পিএম
আবাসন প্রকল্পের ৬০ পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

ভোলা: চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে জুই আবাসন প্রকল্পে ৬০ পরিবারে  প্রায় ৩ শতাধিক আবালবৃদ্ধ বনিতা বিশুদ্ধ খাবার পানি, টয়লেট না থাকায় এবং ঘরগুলো বিনষ্ট হওয়ার কারনে দীর্ঘ বছর যাবৎ মানবেতর জীবন যাপন করছে।

পরিবেশগত কারণে বিভিন্ন রোগে সব সময় প্রকল্পের বাসিন্দারা আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন জানান, আমি নিজে প্রকল্পটি পরিদর্শন শেষে মন্ত্রণালয়ে টিউবওয়েল স্থাপন, টয়লেট নির্মাণসহ ঘর মেরামতের প্রস্তাব বারবার  পাঠালেও প্রকল্প পরিচালক তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমরা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি, বসবাসকারীরা মেরামত করে নিবে।

সরজমিনে গেলে আবাসন প্রকল্পের সভাপতি আ. রব জানান, ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করে ভূমিহীন ৬০ পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়। ৬ ব্যারাকে ৪টি টিউবওয়েল ৪টি টয়লেট নির্মাণাধীন ছিল। ১/২ বছরের মাথায় টিউবওয়েলগুলো নষ্ট হয়ে গেলে  বিশুদ্ধ পানির অভাবে সামনের খালের পানি ফুটিয়ে পান করতেছি। কামাল জানান, ব্যারাক থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তখন নৌকায় করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী যাতায়াত করে।

রত্তন, বিবি কহিনুর, জান্নাত বেগম, ফজিলত বেগম, ফেরদাউস বেগম, নুর নাহার, হালিমা জানান, বর্ষাকালে ঘরের মধ্যে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে থাকতে হয় এবং শীতেও কুয়াশার কারনে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বসবাসের অযোগ্য হওয়ার কারনে আলাউদ্দিন, সোহাগ, ইউসুফ, খোকন, কামাল, মিজান, শহিদ, আবু বক্কর অন্যত্র চলে গেলেও বর্তমান বাসিন্দারা নিরুপায় হয়ে বসবাস করছে।

জয়নাল জানান, আবাসন প্রকল্প থেকে কাছাকাছি কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় ছোট ছোট শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারপরেও প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে প্রাথমিকে ৪০ জন, হাইস্কুলে ১০ জন, কলেজে ৮ লেখাপড়া করছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!