• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আম পাতার ১০টি বিস্ময়কর ঔষধি গুনাগুণ


স্বাস্থ্য ডেস্ক এপ্রিল ১১, ২০১৭, ০১:৪৫ পিএম
আম পাতার ১০টি বিস্ময়কর ঔষধি গুনাগুণ

ঢাকা : আম খেতে সবাই পছন্দ করে। আমের স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়েও কারো সন্দেহ নেই। কিন্তু আম পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি যা আনেকেই জানেন না। আম পাতা ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর। আম পাতায় মেঞ্জিফিরিন নামক সক্রিয় উপাদান থাকে যার অপরিমেয় স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। কচি আমের পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি পান করা বা পাতা গুরু করে খাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে আম পাতার  ব্যবহার বর্ণনা করা হয়েছে।

আম পাতায় প্রচুর ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকে। ফলে ফলের রাজা আম সবারই প্রিয় তা কাঁচা হোক বা পাকা। কিন্তু আজকে আমরা আমের গুনাগুণ নিয়ে কথা বলবো না, বরং কথা বলবো আম পাতার গুণের বিষয়ে। সাধারণত হিন্দু  ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে আম পাতা ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় আম পাতার ঔষধি গুণের কথা প্রমাণিত হয়েছে। উজ্জ্বল, মাংসল এবং সূক্ষ্ম প্রান্তের আম পাতা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। আম পাতায় প্রচুর ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকে। আম পাতার ঔষধি গুনাগুণ পাওয়ার জন্য ফুটিয়ে বা গুঁড়ো করে খাওয়া যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কচি আম পাতা রান্না করে খাওয়া হয়।  আম পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। রক্তচাপ কমায়

আম পাতায় রক্তচাপ কমানোর উপাদান আছে। হাইপারটেনশনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ রক্তনালীকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে আম পাতা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন ১ কাপ আম পাতার চা পান করলে হাইপারটেনশন কমে।

২। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

আম পাতায় ট্যানিন এবং অ্যান্থোসায়ানিন থাকে যা ডায়াবেটিস নিরাময়ে সাহায্য করে। আম পাতার  চা ডায়াবেটিস এড়িয়ে চলতে এবং সংবহন সম্পর্কিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৩। শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা নিরাময় করে

আম পাতার চা পান করলে সকল ধরনের শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা সারতে এবং কমতে সাহায্য করে। যারা ঠান্ডা, ব্রংকাইটিস বা অ্যাজমায় ভুগছেন তারা এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন আম পাতা ফুটানো পানি পান করে।

৪। কান ব্যথা কমায়

আপনি যদি কান ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আম পাতার রস ব্যবহার করা হতে পারে সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিকার। আম পাতায় হালকা তাপ দিয়ে কানের ছিদ্রের উপর লাগান। এটি চমৎকারভাবে কাজ করবে।

৫। পোড়া সারাতে

আম পাতার সাহায্যে পোড়া নিরাময় হতে পারে খুব দ্রুত। আম পাতার ছাই ত্বকের পোড়া অংশকে নিরাময় হতে সাহায্য করে। কিছু আম পাতা পুড়িয়ে ছাই করে নিন এবং এই ছাই আলতো করে পোড়া স্থানে ঘষুন।

৬। ইউরিক এসিডের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে

গেঁটে বাত নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী আম পাতা। কিছু কচি আম পাতা পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিন পাতার বর্ণ হলুদ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। উপকারিতা পাওয়ার জন্য প্রতিদিন পান করুন এই পানীয়।

৭। স্ট্রেস কমায়

যারা অস্থির ও উদ্বিগ্ন অনুভব করেন তারা এর থেকে মুক্তি পেতে পান করতে পারেন আম পাতার চা। ২/৩ কাপ আম পাতার চা পান করে দেখুন পার্থক্য বুঝতে পারবেন। এটি আপনার স্নায়ু তন্ত্রকে শিথিল হতে সাহায্য করবে এবং আপনি সতেজ অনুভব করবেন।

৮।  কিডনির পাথর দূর করে

আম পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন এবং পানির সাথে মিশিয়ে সকালে পান করুন। এর ফলে কিডনি পাথর খুব সহজেই শরীর থেকে বের হয়ে যাবে।

৯। গলা ব্যথা দূর করে

গলার ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আম পাতা। কিছু আম পাতা পুড়তে দিন এবং এর থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া শ্বাসের সাথে গ্রহণ করুন। এতে আপনার গলা ব্যথার সমস্যা কমবে।

১০। মৌখিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা

আম পাতার সাহায্যে আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায় এবং অস্বাস্থ্যকর দাঁত ও মাড়ির সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।

আম পাতা বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের উপকার করে থাকে। তবে আম পাতার চায়ে আপনার অ্যালার্জির সমস্যা হয় কিনা তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। আম পাতায় আম গাছের আঠা বা কষ আছে কিনা দেখে নিতে হবে, তা না হলে এই কষ শরীরে  প্রবেশ করলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাছাড়া এই কষ ত্বকে লাগলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!