• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে স্কুলের ছাদ ধসে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত


আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮, ০৭:০৮ পিএম
আমতলীতে স্কুলের ছাদ ধসে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত

ছবি: সোনালীনিউজ

বরগুনা : জেলার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা নুরুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার সময় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই ওই ভবনের সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে সকল শিক্ষার্থীদের সরিয়ে পাশের একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনে নেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাতাকাটা নুরুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ কক্ষের ভবনটি ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর এ পর্যন্ত আর কোনো সংস্কার করা হয়নি। ফলে ভবনটির দেয়ালের পলেস্তারার খসে পড়েছে। বর্ষার সময় ছাদ চুয়ে পানি পরে। ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ার পরও বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় নিরুপায় হয়ে শিক্ষকরা ওই ভবনে স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির প্রথম সিফটের ক্লাসশেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বের হওয়ার সময় আকস্মিক বিকট শব্দ করে ভবনের ছাদ ধসে পড়তে শুরু করে। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষার্থীরা দৌড়ে বাইরে আসতে পারলেও অনেকে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বেঞ্চের নিচে আশ্রয় নেয়। এ সময় ইট ও শুরকির আঘাতে চতুর্থ শ্রেণির উস্মিতা, মরিয়ম ও লামিয়া এবং পঞ্চম শ্রেণির ওবায়দুল ও ইমন নামে ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিচ নাহার জানান, বিদ্যালয় ভবনটি অনেক পুরানো। ব্যাবহার অনুপযোগী হওয়া সত্বেও নিরুপায় হয়ে ব্যবহার করছি। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় প্রথম ব্যাচের ক্লাস শেষ। শিক্ষার্থীরা বের হচ্ছে এ সময় আকস্মিকভাবে বিকট শব্দ করে পুরো ভবনের ছাদ ধসে পরে। ভবন ধসের ঘটনায় বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী হাতে পায়ে এবং মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়। আহতদের আমরা দ্রুত উদ্ধার করে ভবনের বাইরে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। বিদ্যায়টিতে বর্তমানে প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহেরুন নেছাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। ওই ভবনে সকল ক্লাস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশের নুরুল হক নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনে ক্লাস করার জন্য বলা হয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। যাতে আর ওই ভবনে ক্লাস করা না হয়। বিকল্প হিসেবে পাশের একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ক্লাস নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!