• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আমাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২, ২০১৭, ০৫:০৫ পিএম
আমাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হবে

ফাইল ছবি

ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রীই আদালত অবমাননা করে বক্তব্য দিচ্ছেন উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘অনেক মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন এ মামলায় আমার সাজা হবে এবং আমাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হবে। মামলার রায়ের আগে এ ধরনের কথা বলা কি আদালত অবমানা নয়?’

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসায় স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫-এ আত্মপক্ষ সমর্থনের পর বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাদুর কাঠি আছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, মাঝে মাঝে মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে কোনও যাদুর কাঠি আছে। সেই যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজিসহ সব মামলা তিনি সরকারে আসার পর উঠে গেছে বা খারিজ হয়ে গেছে। কিন্তু, আমাদের আর কারও হাতে যাদুর কাঠি নেই। কাজেই একই সময়ে আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো সচল ও গতিশীল হয়েছে। হয়েছে নতুন নতুন মামলা।

এর আগে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীরা তার জামিন স্থায়ী করে দেয়ার আবেদন জানান। তারা বলেন, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির নেত্রী। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, বয়স্ক। এই বিবেচনায় তিনি স্থায়ী জামিন পেতে পারেন।

তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। দুদকের আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়া জামিনের অপব্যবহার করেছেন। কাজেই তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া উচিত নয়।

শুনানি শেষে আদালত বলেন, জামিন স্থায়ী হবে না। পরবর্তী শুনানির জন্য ৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বিচারক।

এ ছাড়া খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এই আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তা পরিবর্তনের জন্য হাইকোর্টে করা আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম মুলতবি রাখার আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করে দিয়েছেন।

গত ১৯ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান খালেদা জিয়া। পরে আদালত জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এক লাখ টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত জানান, অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন খালেদা জিয়া।

ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে এক ঘণ্টা বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। তার বক্তব্য শেষ না হওয়ায় পরবর্তী বক্তব্যের জন্য ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। ওই দিনও তার বক্তব্য শেষ না হওয়ায় আজকের দিন ধার্য করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!