• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমাদের বাজেট খাওয়া ভবন তৈরির বাজেট নয়


কক্সবাজার প্রতিনিধি জুন ২, ২০১৭, ০৩:২১ পিএম
আমাদের বাজেট খাওয়া ভবন তৈরির বাজেট নয়

কক্সবাজার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে দুর্গতদের আবাসন তৈরিসহ একে একে সব ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া হবে। শুক্রবার (০২ জুন) সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজার পৌরসভায় দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের বাজেট খাই খাই এবং খাওয়া ভবন তৈরির বাজেট নয়। এ বাজেট উন্নয়ন ও জনকল্যাণের জন্য। উন্নয়ন ও জনকল্যাণের এ বাজেট দেখে বেগম জিয়া ও তার দলের নেতাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শালীনতা ও সম্মানের সঙ্গে কথা বলারও অনুরোধ জানান তিনি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় আমরা উপকূলে চলে এসেছি, কিন্তু বিএনপি ও তার দল কখন আসবে। বিএনপি মানুষের দুঃখ বোঝে না। আমরা দেখেছি বিএনপি হাওরে গিয়ে ফটোসেশন করেছে, বিএনপি একটি ফটোশেসনের দলে পরিণত হয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষে আমরা ফটোসেশন করতে আসিনি, এসেছি উপকূলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে, তাদের সাহায্য করতে এবং পুনর্বাসন করতে।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দরিদ্রবান্ধব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্ভোগ তাড়িত মানুষের বেদনা অনুভব করেন। তারই নির্দেশে আমরা একতাবদ্ধ হয়ে ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় এসেছি। নেত্রীর চাওয়া হলো- দুর্গত এলাকার একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। তাদের আগের অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার সব ধরণের সহযোগিতা দেবে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ১১ নেতার নেতৃত্বে ৫টি টিমে ভাগ হয়ে কক্সবাজার জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে।

দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক একেএম এনামুল হক শামিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সদস্য রাশেদুল ইসলাম। এই গ্রুপটি ত্রাণ বিতরণ করতে টেকনাফ গেছেন।

তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন স্থানীয় সাংসদ আব্দুর রহমান বদি, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম (রাজা), নাজনিন সরওয়ার কাবেরী প্রমুখ।

তারা টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ, সাবরাং ও সেন্টমার্টিনে দুর্গতদের মাঝে ৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ টাকা বিতরণ করবেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ কুতুবদিয়ায় গেছেন। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও স্থানীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ ত্রাণ কমিটির কিছু সদস্য গেছেন চকরিয়া-পেকুয়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়।

তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলম এমএ, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি রেজাউল করিমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবন্দ।

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে বাঁশখালী-আনোয়ারায় যোগ দেবেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী জাবেদসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

আর আকতারুজ্জামান ও অসীম কুমার উকিলের নেতৃত্বে বান্দরবান-রাঙ্গামাটিতে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, দীপংকর তালুকদারসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ত্রাণ সহায়তা বিতরণে যোগ দেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আসা টিমের সদস্য কর্তৃক বিতরণের লক্ষ্যে মহেশখালী ৩৭ মে. টন, কুতুবদিয়ায় ৩০ মে. টন, পেকুয়া উপজেলায় ১০ মে. টন, টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ, সাবরাং ও সেন্টমার্টিনের জন্য ৪০ মে. টন, কক্সবাজার পৌরসভার জন্য ১৫ মে. টন ও চকরিয়ার জন্য ১৫ মে. টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও চলমান কার্যক্রম হিসেবে ১ জুন পুরো জেলার ২৮৭ মে. টন চাল, নগদ ৩৩ লাখ টাকা ও ৩০০ বান্ডিল টিন বিতরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ত্রাণের সঙ্গে প্রতিজনকে নগদ এক হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তাও দেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!