• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘আমাদের সূর্য সন্তানদের হারিয়েছি’


আদালত প্রতিবেদক নভেম্বর ২৭, ২০১৭, ০২:১৬ পিএম
‘আমাদের সূর্য সন্তানদের হারিয়েছি’

ঢাকা : কথিত বিদ্রোহের নামে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস-বিডিআরের সদর দফতর পিলখানায় অর্ধশতাধিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার রায় দিতে গিয়ে আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘পিলখানার ঘটনায় আমরা আমাদের (গোল্ডেন সান) সূর্য সন্তানদের হারিয়েছি।’ আদালত আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই বিদ্রোহ ঘটানো হয়।

গতকাল রোববার (২৬ নবেম্বর) সকাল ১০টা ৫৬ মিনিটে এ মামলার রায় ঘোষণাকালে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনসহ তিন সদস্যের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চের রায়ে এই মন্তব্য করা হয়। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
বিচারকরা রায় পড়া শুরু করলেও গতকাল সাজা ঘোষণা করেননি। কেবল পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণে বলা হয়, একাত্তর যে বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, সেই বাহিনীর এই বিদ্রোহ কলঙ্কজনক।

বিদ্রোহের হত্যাযজ্ঞকে নৃশংস, বর্বরোচিত ও নজিরবিহীন আখ্যা দিয়ে বিচারকরা বলেন, এত অল্প সময়ে ৫৭ জন সেনা হত্যার ঘটনা পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি। বিদ্রোহে জড়িতরা অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয় পর্যবেক্ষণে।

বিভিন্ন দেশের সেনা কর্মকর্তা হত্যার কয়েকটি সংখ্যার উলে­খ করে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘একাত্তরে ৫৫ জন সেনা কর্মকর্তা পাকিস্তানি বাহিনীর দ্বারা নিহত হন। কিন্তু বিডিআর বিদ্রোহে ৩০ ঘণ্টার মধ্যে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। যা এর আগে আর আর ঘটেনি।’

মামলাটি পরিচালনার ক্ষেত্রে আইন বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, আইন বিজ্ঞানী ও সমাজ বিজ্ঞানীদের গবেষণা, অপরাধের ধরণ, কারণ, ও কোরআন শরীফের কিছু নির্দেশনাসহ বেশ কিছু ধর্মগ্রন্থের পর্যালোচনা করা হয়েছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিদ্রোহের সেই সময়কার ঘটনাগুলোর বর্ণনা করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্কের শুনানি তুলে ধরা হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদফতর পিলখানায় বাহিনীটির শীর্ষ কর্মকর্তাদেরকে দরবারে আটকে রেখে বিদ্রোহ করে সৈনিকরা। দুই দিনের বিদ্রোহে বাহিনীতে কাজ করতে আসা সেনাবাহিনীর ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে বাহিনীটির সে সময়ের মহাপরিচালক শাকিল আহমেদও ছিলেন। এই বিদ্রোহ পড়ে ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাহিনীটির ক্যাম্পে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!