• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমার গানের ভক্তরাই নির্বাচনী মাঠের প্রধান শক্তি (ভিডিও)


জাকিরুল আহসান ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭, ০৮:৪৫ পিএম
আমার গানের ভক্তরাই নির্বাচনী মাঠের প্রধান শক্তি (ভিডিও)

ঢাকা: বাংলাদেশে যে কয়েকজনের হাতে ব্যান্ড সঙ্গীত জনপ্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের মধ্যে মাইলস’র শাফিন আহমেদ অন্যতম। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তুমুল জনপ্রিয় তিনি। গান গেয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় শ্রোতাদের মনজয় করে চলেছেন এ সঙ্গীতশিল্পী। এবার সঙ্গীতের মঞ্চ ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন শাফিন। আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশ নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) পক্ষ থেকে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত?

নির্বাচন, রাজনীতি, সঙ্গীত ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। সোনালীনিউজের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো:

গানের জগৎ থেকে হঠাৎ কেন রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন?

শাফিন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সংস্কৃতি জগতের মানুষ এটা ঠিক আছে। তবে এদেশের মানুষের জন্য গান করেছি। মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সন্মান পেয়েছি। সময় এসেছে তাদের জন্য কিছু করার। শুধু ভক্তদের জন্য নয়। দেশের মানুষের জন্য। ঢাকার মানুষের জন্য কিছু করার। সেই জন্য সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম বেশ কয়েক বছর ধরে। আমাকে হয়তো আপনারা রাজনীতি অঙ্গনে এক বছর ধরে দেখছেন। কিন্তু আমার চিন্তা-ভাবনা ছিল অনেক আগের। এখন এনডিএম-এর মাধ্যমে সেই সুযোগটা এসেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত আমি দেশের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পাবো। 

গানের জন্য মানুষ আপনাকে ভালোবাসে, কিন্তু ভোটের জনপ্রিয়তা ও ভালোবাসা সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে মানুষের মন কিভাবে জয় করবেন? 

শাফিন বলেন, স্টেজে পারফর্ম করতে গিয়েই মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে। শ্রোতা, ভক্তদের কথা চিন্তা করেই গান তৈরি করতে হয়েছে। অবিশ্বাস্য গণসংযোগ বছরের পর বছর ধরে মানুষের সঙ্গে হয়েছে। ৩০-৩৫ বছর ধরে মানুষের কাছাকাছি থাকা। তাদের স্পর্শ পাওয়া। তাদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি এটার জন্য আমি সৌভাগ্যবান। কারণ এটা সবার ভাগ্যে জোটে না। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আমার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে। সেই কথা চিন্তা করে আমি তাদের জন্য কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আশা করব যারা এতোদিন আমাকে ভালোবেসেছেন, শ্রদ্ধা করেছেন সবাই আমার পাশে থাকবেন। তাদের সমর্থন পাবো বলে আশা করি এবং তাদের সঙ্গে আমার সংযোগ আবারো হবে অন্য বিষয় নিয়ে হলেও পরিচিতিটা তো রয়েছে। 

শাফিন বলেন, ঢাকার বিরাট একটি ভোটারের অংশ তরুণ। শুধু ঢাকা নয় সারা বাংলাদেশে তরুণ ভোটারের সংখ্যা প্রচুর। আর অর্ধেক ভোটার হলো নারী। তাদের কথা আমাকে চিন্তা করতেই হবে। আমি যেভাবে কাজ করি না কেন। যারা আমার মা ফিরোজা বেগমের গান শুনেছেন তার ভক্ত রয়েছেন। তাঁকে তো তারা ভুলে যাবেন না। বয়স্ক ভোটাররা ফিরোজা বেগম এবং কমল দাশগুপ্তের সন্তান হিসেবে যখন আমাকে দেখবেন তখন তাদের জায়গা থেকে এক ধরনের দুর্বলতা বা ভালোলাগা হয়তো থাকবেই। 

শাফিন বলেন, ঢাকার সমস্যাগুলো পুরনো। সবাই জানে সে সমস্যাগুলো। আমি সেই সমস্যাগুলো সমাধানেই প্রথম মনোযোগী হবো। তিনি বলেন, আমি মনে করি সমস্যাগুলো বর্তমান অবকাঠামোর মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে। আমরা যদি কিছুটা সমস্যা দূর করতে পারি জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসবে। আমার উদ্দেশ্য প্রথমে অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের সমস্যার সমাধান, জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি কতো দ্রুত ফিরিয়ে আনতে পারি সেদিকে।

শাফিন বলেন, ডিএনসিসি’র বাকি দুই বছর সময়ের মধ্যে বড় ধরনের পরিকল্পনার দিকে নজর দেয়া উচিত হবে না। আর বড় কোনো পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করাও সম্ভব হবে না। চমক দেখানোর প্রতিশ্রুতিতে আমি যাবো না। চলমান যেসব কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছিল সেগুলো ঠিকভাবে কার্যকর করা। যে পরিকল্পনাগুলো হাতে নিয়ে কার্যক্রম চলছিল সেইগুলোকে কার্যকর রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তরুণদের জন্য খোলামেলা জায়গা দরকার, খেলার মাঠ দরকার। শরীর চর্চা করা হোক কিংবা হাঁটা হোক এই ব্যবস্থাগুলো থাকতে হবে। আমি বললে হঠাৎ করে কিন্তু খেলার মাঠ গড়ে উঠবে না। তবে যেগুলো রয়েছে সেসব জায়গাকে কার্যকর করা সম্ভব। যাতে মানুষের এই খেলার মাঠ বা পার্কগুলো ব্যবহার করার ইচ্ছে জাগে আগ্রহ জাগে। সেই ব্যাপারে আমি চেষ্টা করবো। 

নির্বাচিত হলে সরকারের কতটুকু সহযোগিতা পাবেন বলে মনে হচ্ছে?

জবাবে শাফিন বলেন, যেহেতু ঢাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। এটা কার্যকর রাখাটা খুব প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে মেয়র হিসেবে জনগণ যাকেই বেছে নেন না কেন সরকারের সমর্থন থাকবে তার প্রতি।

শাফিন আহমেদ এর পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখুন ভিডিওতে:  

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!