• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আমেরিকায় গিয়ে চীন ও রাশিয়ার সমালোচনায় অর্থমন্ত্রী


নিউজ ডেস্ক অক্টোবর ১৫, ২০১৭, ০৬:৫৪ পিএম
আমেরিকায় গিয়ে চীন ও রাশিয়ার সমালোচনায় অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: মিয়ানমার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধংস করে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এসময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে চাপ না দেয়ার জন্য চীন ও রাশিয়ার ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করেছেন। একই সাথে মিয়ানমারকে একটি ‘ব্লাডি’ রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেছেন।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলন চলাকালে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল কমিটির (আইএমএফসি) বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই সম্মেলনের সব বৈঠকেই মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সবখানেই আমি বিষয়টি উপস্থাপন করছি। তারা সবাই সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

মিয়ানমার সরকারের তিব্র সমালোচনা করে মুহিত বলেন, ‘মিয়ানমার একটা ব্লাডি কান্ট্রি। মিয়ানমার ইজ অ্যাএ রাফ স্ট্রেট। দেশটি এ বছর বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করবে। এটা বাংলাদেশের জন্য রিয়েল ক্রাইসিস। এটা বাংলাদেশের উপর হামলার শামিল।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বিশ্বে একমাত্র জনবিচ্ছিন্ন সেনাবাহিনী মন্তব্য করে মুহিত বলেন, দেশটির সম্পূর্ণ সম্পদ সেনাবাহিনীর পেছনে ব্যয় হয়।

বাংলাদেশের অর্থনীতির কী ধরনের ক্ষতি হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের বিশাল অংকের টাকা খরচ করতে হবে। এটা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। দেশে গিয়েই বাজেট অ্যালোকেশন এদিক-ওদিক করতে হবে। এটা ঠিক যে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে বড় ধরনের সহায়তা পাওয়া যাবে। কিন্তু তারপরও আমাদের উপর বড় ধাক্কা আসবে। ‘বিশ্ব ব্যাংকও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা অনুদান ও ঋণ দুটিই দিতে চেয়েছে।’

বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে রোহিঙ্গাদের পেছেনে কেনো খরচ করবো এ প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, ‘আমরা মানবিক। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই তাদের জন্য গেট খুঁলে দিয়েছে। তিনি মানবিক বলেই এ কাজটি করেছেন। বিশ্ববাসী তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।’

মিয়ানমার যে কাজটি করেছে তার জন্য বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে যৌক্তিক চাপ দেয়া হচ্ছে না জানিয়ে মুহিত বলেন, ‘আসলেই তেমন তেমন চাপ দেয়া হচ্ছে না। চায়না-রাশিয়া তো কিছুই করছে না। সম্মিলিতভাবে সবাই মিলে মিয়ানমারের উপর অর্থনৈতিক-বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে নিষেধাগা আরোপ করা উচিত।’

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী শহর মিয়ানমারের রাখাইনে কয়েক দশক ধরে জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা। গত ২৫ আগস্ট নতুন করে দমন অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের মুখে মুখে দলে দলে রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ বাংলাদেশ অভিমুখী হয়।

গত দেড় মাসে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। এর আগে থেকেই বাংলাদেশে এই জনগোষ্ঠীর আরো চার লাখের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছে।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!