• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আরেকটা সুযোগ দিবা, প্লিজ...


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ২৭, ২০১৮, ১১:৫৬ এএম
আরেকটা সুযোগ দিবা, প্লিজ...

ঢাকা: জাভেদ যেদিন ফিরে এল সেদিন সন্ধ্যায় আমার আংটিবদল হয়েছে। নিজের সঙ্গে চূড়ান্ত রকমের একটা বোঝাপড়া করে, আমি যখন নতুন একটা সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত হয়েছি, তখন আবার ও ফিরে এল। রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের ওই ফোনকলটা আবার সবকিছু ওলট–পালট করে দিল। ফোনটা এসেছিল একটা অপরিচিত নম্বর থেকে। ফোন ধরার পর অনেকক্ষণ কথা বলেনি সে। কিন্তু আমি জানতাম ওপাশে জাভেদই আছে। দীর্ঘক্ষণ চুপ থাকার পর হঠাৎ ভাঙা গলায় বলে উঠল, ‘একটু নিচে আসবা, প্লিজ।’

তখন আমার আবেগ সব যৌক্তিক চিন্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আমাকে নিচে নামিয়ে আনল। জাভেদকে দেখে প্রচণ্ড ধাক্কা খাই আমি। দীর্ঘ দুই বছর পর ওর সঙ্গে দেখা। ছেলেটা কেমন যেন বদলে গেছে। উষ্কখুষ্ক চুল, গাল দুটো ভাঙা ভাঙা আর চোখ দুটো অসম্ভব লাল। যেন কত রাত ও ঘুমোয়নি। আগের সেই নাক-উঁচু ভাবটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। ভাবতে অবাক লাগে এই অহংকারী বদমেজাজি ছেলেটাকে কী পাগলের মতোই না আমি ভালোবাসতাম। তাই তো ফাবিহা নামের জুনিয়র মেয়েটার সঙ্গে নানা কথা ওঠা সত্ত্বেও আমি কান দিইনি। আমি জানতাম, সে আমার বিশ্বাস ভাঙবে না। যেদিন নিজের চোখে ফাবিহার সঙ্গে দেখলাম, সেদিনের পর আর কথা বলিনি।

সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম। জাভেদ বুঝতে পেরে সামনে এগিয়ে এসে মাথা নিচু করল। বিড়বিড় করে বলল, ‘আমাকে কি আরেকটা সুযোগ দিবা, প্লিজ...।’ আমি ওর চোখের দিকে তাকালাম, পানিতে টলটল করছিল চোখজোড়ায়। সে পানিতে আমার দুই বছরের জমিয়ে রাখা রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ, অভিমান সব হারিয়ে গেল। আগামাথা কিছু চিন্তা না করেই আমি আঙুল থেকে আংটি খুলে ফেললাম। মুহূর্তেই ওর হাত ধরলাম। এখনো তো সে হাত ধরেই আছি...।

লিখেছেন- রেহ্‌নুমা কাদীর, আজিমপুর, ঢাকা থেকে। সংগ্রহ- প্রথম আলো।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!