আলোচনায় এবার ঢাকার উইকেট

চট্টগ্রাম টেস্টের সময় প্রতিদিনের কৌতূহলের তালিকায় ‘আকাশ কেমন থাকবে’ প্রশ্নটা বড় করে ছিল। এখন শুরু ঢাকা টেস্টের আগে প্রশ্ন, ‘উইকেট কেমন হবে?’ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাল মাঠের অনেক দূর দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষটিও ঘাড় ঘুরিয়ে একবার দেখার চেষ্টা করেছে উইকেটের চেহারা।

চট্টগ্রামের সাগরিকায় এক অভূতপূর্ব সাফল্য আসার পর ঢাকা টেস্টের আগে ক্রিকেট পাড়ায় একটাই আলোচনা, উইকেট। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এবারও টার্নিং উইকেট চায় দল। চট্টগ্রামের পিচ কিউরেটর ছিলেন জাহিদ রেজা বাবু। পিচ বানিয়েই সাব্বিরকে বলে দিয়েছিলেন, এই পিচে তুমি হাফসেঞ্চুরি মারবে। চট্টগ্রামে বাবুর করা ওই উইকেটেই প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেয় টাইগাররা বোলাররা। পিচে প্রচুর টার্ন ছিল। স্পিনাররা হাত ঘুরিয়েছেন মনের আনন্দে।

ওয়ানডের পর নীতিনির্ধারকরা জানিয়ে দেন, পিচে সর্বোচ্চ টার্ন চাই। ম্যাচ তিনদিনে শেষ হলেও আপত্তি নেই। জাহিদ রেজা বাবু এই নির্দেশ পেয়েই কাজে নেমে পড়েন। সাধারণত পিচের দুই ইঞ্চি নিচে পানি থাকে। কিন্তু উইকেট ঝরঝরে রাখতে হলে ৩ থেকে সাড়ে তিন ইঞ্চি পানি রাখতে হয়। জাহিদ প্রাণপণ চেষ্টায় চার ইঞ্চি নিচে পানি রাখলেন। পরিকল্পনা করে দিনে একবার মাত্র পানি ছেটাতেন।

জাহিদ তার ক্যারিয়ারে এমন প্রশংসা কখনো পাননি। স্বভাবতই আপ্লুত। তবে এও মনে করিয়ে দিলেন দিনশেষে এটাই তার কাজ, ‘আমরা তো থ্যাঙ্কলেস কাজ করি। এটাই আমাদের পুরস্কার। মুশফিক মিডিয়ার সামনে আমার প্রশংসা করেছে, এটা জীবনের বড় পাওয়া।’

দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে শুক্রবার থেকে। প্রথম টেস্টে কষ্টের হার দেখতে হলেও বাংলাদেশ যে ক্রিকেট খেলেছে, তাতে প্রাপ্তির খাতা একেবারে কম নয়। অভিষেক টেস্টে সাব্বির যে মানসিকতা নিয়ে ব্যাট চালিয়েছেন, তাতে অনেকে তাকে ‘নায়ক’ও বলছেন। ম্যাচশেষে দেখা হতেই ‘বাবু ভাই’ বলে জাহিদকে জড়িয়ে ধরেন সাব্বির।

ঢাকার পিচ কিউরেটর বাবু নন। শ্রীলঙ্কান গামিনি। তিনি মিরপুরে দাঁড়িয়ে উইকেট নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাইলেন না। শুধু জানিয়ে গেলেন, ‘দল যেমন চাইবে তেমন হবে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই