• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘আল্লাহর গজব পড়বে এদের উপর’


জাকিরুল আহসান সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭, ০৮:৪৭ পিএম
‘আল্লাহর গজব পড়বে এদের উপর’

ঢাকা: একজন চিকিৎসককে (অপারেশন থিয়েটার) ওটিতে কাজ করতে হয় সর্বোচ্চ সতর্ক হয়ে। রোগীর সঠিক সেবা দিতে শতভাগ মনোযোগী হতে হয় তাকে। আর চিকিৎসককে সহযোগিতা ও ইন্সট্রুমেন্ট (অপারেশনে ব্যবহৃত যন্ত্র) এগিয়ে দিতে ওটিতে থাকতে হয় কয়েকজন ব্রাদার। 

অথচ একজন চিকিৎসক যখন রোগীর সঙ্গে ওটিতে যুদ্ধ করেন, তখন কিছু অসাধু ব্রাদার ওটি থেকে বের হয় টাকার ধান্ধা করেন। এতে করে জরুরী মুহূর্তে চিকিৎসককে পড়তে হয় বিপাকে। 

এমন একটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ডা. মাশরাফুল ইসলাম সইকত। সোনালীনিউজ পাঠকদের জন্য Mashraful Islam Shaikat এর দেয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

আমরা যারা (অপারেশন থিয়েটার) ওটিতে কাজ করি, বিশেষ করে ইমার্জেন্সি ওটি অথবা আউটডোর ওটি- কাজ করতে গিয়ে রোগী ম্যানেজ করতে গিয়ে যেমন যুদ্ধ করতে হয়, তেমনি যুদ্ধ করতে হয় ওটি দাদু অথবা ব্রাদার দের সাথে। কাজ করার চেয়ে বেশি ধান্ধা থাকে মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে টাকা নেয়ার প্রতি। আল্লাহর গজব পড়বে এদের উপর যারা চিকিত্সকদের কথা বলে টাকা নেয়। 

আজ সোহরাওয়ার্দীতে আউটডোর ওটিতে দু'জন সিস্টার, একজন ব্রাদার আর একজন ওটি বুয়া। মাঝে মাঝে ওটিতে কেউ নেই। ব্রাদার ওটির বাইরে স্টেরয়েড ইন্জেকশন দিতে আর টাকা নিতে ব্যস্ত।

ভিতরে আউটডোর কেসগুলোতে ইন্সট্রুমেন্টও ঠিকভাবে দেয়ার মতো লোক মাঝে মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় না। বদ্ধ রুমটিতে এসি নষ্ট দীর্ঘদিন থেকে। ওয়াশ নেয়ার পর খোলা জিনিসে হাত দেয়া সম্ভব না। ঘেমে একাকার হয়ে একটির পর একটি অপারেশন করে চলে চিকিত্সকরা। ব্রাদারকে কিছু বড় কেসের সময় ওটিতে থেকে পরে তার ধান্ধা করতে বলায় সে বললো, উপরের অনেক স্যার রাও নাকি তাকে কিছু বলে না। 

আমি বললাম স্যার রা ভদ্রলোক, আমি কিন্তু ভদ্রলোক না। স্যারদের উচিত ছিল অনেক আগেই এমন লোককে লাথি মারা। তবে অধিকাংশ চিকিত্সকই বড় বেশি ভদ্রলোক। কেউ কেউ আবার রোগী পায় এদের থেকে। 

আমার বরিশাল মেডিকেলেও এমন একজন স্যার আছেন, যিনি রোগীর লোককে দেখাতে গিয়ে জুনিয়র প্রায় সব চিকিত্সকের সাথে দুর্ব্যবহার করেন, কিন্তু হাসপাতালের স্টাফদের সাথে দাঁত বের করে হাসি দিয়ে কথা বলেন। 

আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কবে ঠিক হবে? সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতি প্রতিরোধে চিকিত্সকদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মনিটরিং সেল দরকার। কোথাও কোথাও দুর্নীতি হয় সে কিন্তু জানা কথা। কদিন আগে শেবাচিমে ও দেশের অন্য একটি হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স ও স্টোর কিপারের কাছ থেকে কোটি টাকার ওষুধ জব্দ করা হয়। কি বলবে স্বাস্থ্য প্রশাসন???

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!