• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আশার আশা পূরণ হলো


শেরপুর প্রতিনিধি নভেম্বর ২১, ২০১৭, ০১:৩৮ পিএম
আশার আশা পূরণ হলো

শেরপুর: জেলার নালিতাবাড়ীতে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ দেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আশামনি নামে ওই শিক্ষার্থী জানায়, তার পরিবার শিকলবন্দী করে জোরপূর্বক তাকে বিয়ে দিচ্ছিলো।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পরিবারকে জরিমানা করেছে প্রশাসন। এদিকে, ওই শিক্ষার্থীর পড়ালেখার ভার নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।  

শেরপুর শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে নালিতাবাড়ী উপজেলার গ্রাম কোন্নগর। ওই গ্রামের আবুল হাসেমের কন্যা শিশু আশামনি। কোন্নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এই ছাত্রীকেই সম্প্রতি শিকলবন্দী করে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে তার পরিবার।

তবে স্কুলের শিক্ষক আর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হয় বাল্যবিবাহের এই অপচেষ্টা।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পরিবারকে জরিমানা করা হয়েছে।

নালিতাবাড়ী বাগানবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, আশামনিকে অল্প বয়সে বিয়ে না দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ সত্ত্বে¡ও রাজি হয়নি তার পরিবার। সকল সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পরিবার জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ দিতে গেলে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আশামনিকে উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।

এদিকে, অনাকাক্সিক্ষত এ ঘটনা থেকে আশামনিকে মুক্ত করার পর, তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার সোহেল রহমান বলেন, ‘আশামনি পড়ালেখা করতে চায়, শিক্ষিত হতে চায় , আমাদের স্টুডেন্ট কাউন্সিলে সে নির্বাচিত নেত্রী। পরবর্তীতে তার পড়ালেখার সকল ব্যয়ভার প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমি গ্রহণ করলাম।’

বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!