• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আয়ু বাড়ে লাল মরিচে


লাইফস্টাইল ডেস্ক জানুয়ারি ১৭, ২০১৭, ০২:২১ পিএম
আয়ু বাড়ে লাল মরিচে

শরীরে রোগ-বালাই বাসা বাঁধলে আমরা নানা ধরণের ওষুধ সেবন করি। ওষুধ খেলে রোগ সেরে যায়। কিন্তু সবসময় ওষুধ খেলেই যে সুস্থ থাকা যায় এমনটি নয়। এ ক্ষেত্রে এমন কিছু খাবার আছে যা আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিন লাল মরিচ খেলে আপনি শুধু সুস্থ-ই থাকবেন না, একইসঙ্গে বাড়বে আপনার আয়ুও।

লাল মরিচ ঝালে ভরপুর একটি খাবার। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। ঝাল মরিচে ক্যাপসেচিন, ভিটামিন-সি, এ, বি৬ ও ই, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আয়রন, ফ্লাভোনেয়ড ও শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভৃতি নানা উপাদান রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

গবেষকদের মতে, নিয়মিত ডায়েটে লাল মরিচ থাকলে তা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে হার্টের অসুখ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

গবেষকরা বলেন, আপনি যদি মশলাদার খাবার খেতে ভালোবাসেন, তাহলে তো খুবই ভালো। রান্নায় যে সমস্ত মশলা আমরা ব্যবহার করি, তাতে এমন অনেক উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোকের মতো রোগ প্রতিরোধ করে। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।

গবেষকরা আরও বলেন, লাল মরিচে যে উপাদান থাকে, তা কোলেস্টেরলের মাত্রাও কম রাখতে সাহায্য করে। তাই বেশিদিন বেঁচে থাকতে তারা প্রতিদিন ঝাল লাল মরিচ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বেশি মরিচ খেলে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা হতে পারে। তাই পরিমিত মরিচ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্টের গবেষক মুস্তাফা শোপান জানান, ক্যাপসিকাম বা লাল মরিচের মতো ঝাঁঝাঁলো খাবার ট্রান্সিয়েন্ট রিসেপটর পোটেনশিয়াল চ্যানেল শোষিত হয়। 

শরীরের কোষ ও আনবিক কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে ওজন ধরে রাখা, রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে ক্যাপসিকাম। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ থাকার কারণে ইনফেকশন রুখতেও সাহায্য করে মরিচ।

এই গবেষণার জন্য ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশনাল এক্সামিনেশনের গবেষকরা টানা ২৩ বছর ধরে ১৬,০০০ জন মার্কিনির উপর গবেষণা চালান। এতে গবেষকরা দেখতে পান, যারা নিয়মিত ঝাল খান তাদের রক্তে এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে।

অন্যদিকে, জার্নাল অব বায়োকেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, লাল মরিচে এমনই এক উপাদান রয়েছে যা শরীরে বিশেষ এক উৎসেচক উত্পাদনে বাধা দেয়। অধিকাংশ ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে বিপুল পরিমাণে এই উৎসেচকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

পিএলওএস ওয়ান জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। লাল মরিচের আরও স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে-

ব্যথা কমায়
লাল মরিচে ক্যাপসেচিন উপাদান থাকায় তা গাঁটব্যথা দূর করে এবং প্রদাহ কমায়। একইসঙ্গে মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করতে ভূমিকা রাখে এই লাল মরিচ।

ঠাণ্ডা প্রতিরোধে
সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও লাল মরিচ বেশ উপকারী। এটি নাকের বন্ধ ভাব কমাতে সাহায্য করে।

ত্বকের জন্য উপকারী
ত্বকের রোগ সোরিয়াসিসে ভালো কাজ করে লাল মরিচ। সোরিয়াসিস এমন একটি রোগ, এই রোগে ত্বকের মধ্যে মাছের আঁশের মতো হয়। মরিচে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান থাকায় তা সোরিয়াসিসের লক্ষণগুলো কমাতে কাজ করে।

ওজন কমায়
লাল মরিচ ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লাল মরিচ শরীরে মেদ জমতে দেয় না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে লাল মরিচ খাওয়া ভালো। সূত্র: জিনিউজ ও টপ টেন হোম রেমেডি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!