• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইউএনও হয়রানি: বরিশাল ও বরগুনার ডিসিকে প্রত্যাহার


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২৪, ২০১৭, ০২:০৭ পিএম
ইউএনও হয়রানি: বরিশাল ও বরগুনার ডিসিকে প্রত্যাহার

ঢাকা: বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বরিশাল ও বরগুনা জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই দুই ডিসিকে প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।

এদিকে প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির প্রমান পায়নি মন্ত্রীপরিষদ। অন্যদিকে সালমনের বিরুদ্ধে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ।

বরিশালের জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান ও বরগুনার জেলা প্রশাসক বশিরুল আলম

সোমবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য বিষয়টি জানান।

এদিকে শনিবার (২২ জুলাই) উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমনকে নাজেহাল করায় কোর্ট পুলিশের ছয় সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের এক আদেশে তাদের কোর্ট থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) নাসির উদ্দিন মল্লিক।

গত ১৯ জুলাই বরিশালের সিএমএম আদালতে জামিনের আবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারেক সালমন। জামিন মঞ্জুর না করে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় আদালতে দায়িত্বে থাকা পুলিশের ছয় সদস্য তারেক সালমনকে তাড়াহুড়ো করে গারদে নিয়ে যান।

নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান, প্রশাসনিক কারণে সিএমএম আদালতে দায়িত্বরত পুলিশের একজন এসআই, দু’জন এএসআই  এবং তিন জন কনস্টেবলকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। তারা হলেন, এসআই নৃপেন দাস, এএসআই  শচীন ও মাহবুব এবং কনস্টেবল জাহাঙ্গীর, হানিফ ও সুজন।

প্রসঙ্গত- বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সাবেক ইউএনও (বর্তমানে বরগুনার সদর উপজেলায় কর্মরত) গাজী তারিক সালমনকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে আমন্ত্রণ পত্রে ছাপানোর অভিযোগ এনে গত ৭ জুন মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মামলা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদ উল্লাহ সাজু ।

সমন পেয়ে ১৯ জুলাই গাজী তারিক সালমন বরিশাল সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য ও জেলা সম্পাদকের নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থী অর্ধশতাধিক আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। তাই জামিন যোগ্য ধারা হলেও আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিচারক প্রথমে গাজী তারিক সালমনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তখন আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে তাড়াহুড়ো করে ধরে আদালতের গারদে নিয়ে যান। এ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!