• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইউপি চেয়ারম্যান হত্যায় আ. লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার


ফরহাদ খান, নড়াইল প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮, ০২:৪৫ পিএম
ইউপি চেয়ারম্যান হত্যায় আ. লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

শরীফ মনিরুজ্জামান মনি

নড়াইল : জেলার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশ (৪৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা আ. লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামান মনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)  ভোরে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওইদিন রাত পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত পলাশের বড় ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- লোহাগড়া উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাসুদজ্জামান মাসুদ, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি স ম ওহিদুর রহমান, দিঘলিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহম্মেদ মাসুম, আ. লীগ নেতা শরীফ মনিরুজ্জামানের ভাই শরীফ বাকি বিল্লাহ, তিনটি হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি সোহেল খান, শেখ বনিরুল ইসলাম বনি, শেখ পনিরুল ইসলাম কটো, হেমায়েত হোসেনসহ ১৫ জন। আসামিদের অধিকাংশের বাড়ি দিঘলিয়া ইউপির কুমড়ি গ্রামে। নিহত পলাশের বাড়িও কুমড়ি গ্রামে। এ মামলার বাদি মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু বলেন, সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।
 
জানা যায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লতিফুর রহমান পলাশকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার শরীরে একাধিক গুলি ও কোপের চিহ্ন ছিল।

পলাশের ভাই মুক্ত রহমান বলেন, পুলিশ ইচ্ছা করলে ৭০ হাত মাটির নিচেরও অপরাধী খুঁজে বের করতে পারে। আশা করছি আমার ভাইয়ের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও চেয়ারম্যানের স্বজনরা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে লোহাগড়ার দিঘলিয়ার বাড়ি থেকে অফিসের কাজে লোহাগড়া উপজেলায় আসেন ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশকে প্রথমে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।  তিন থেকে চারজন দুর্বৃত্ত এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় এবং তাদের মুখ ঢাকা ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গী ইউপি সদস্য ফরিদ আহম্মেদ বুলুর চিৎকারে উপজেলা চত্বরের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে পলাশের মৃত্যুদেহ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!