• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইকবালের স্ত্রী-সন্তানদের জামিন


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ১৬, ২০১৭, ০১:০৮ পিএম
ইকবালের স্ত্রী-সন্তানদের জামিন

ঢাকা: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগের এমপি এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী, ছেলেমেয়েসহ চারজনকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এরা হলেন- ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম ডলি, ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল ও মঈন ইকবাল এবং মেয়ে নওরীন ইকবাল।

এর আগে বুধবার জামিনের ক্ষেত্রে বিলম্ব মওকুফে তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। আদালতে ইকবালের পরিবারের সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

গত ৮ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ইকবালের পরিবারের দণ্ডপ্রাপ্ত চার সদস্য। সেদিনই তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আতাউর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠান।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৭ মে ইকবাল ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক। আদালত ২০০৮ সালের ১১ মার্চ ইকবালকে পৃথক দুটি ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেন বিচারিক আদালত। এছাড়া আদালত তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।

এই মামলায় ২০১০ সালে আত্মসমর্পণ করে পরের বছর হাইকোর্ট থেকে খালাস পান ইকবাল। তার তার স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা তখন আত্মসমর্পণ করেননি। কিন্তু হাইকোর্ট তাঁদের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন। হাইকোর্টের সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদও শেষ হয়ে যায় ২০১০ সালের নভেম্বরে।

এরপর ছয় বছর তাঁরা বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ ছিলেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্ত হয়েও বেআইনিভাবে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক হন মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল। সবশেষ গত বছর বিশেষ আদালতের রায়ের উপর নতুন করে স্থগিতাদেশ চান ইকবালের পরিবারের চার সদস্য। গত বছর ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।

পরে দুদক আপিলে গেলে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। সর্বোচ্চ আদালতের সেই আদেশের পরই তারা বিচারিক আদালতে আহত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের সপ্তাহান্তেই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন তারা।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!