• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ায় ফের যাত্রীবাহী বিমান নিখোঁজ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ৩, ২০১৬, ০৫:০৬ পিএম
ইন্দোনেশিয়ায় ফের যাত্রীবাহী বিমান নিখোঁজ

ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ায় আবারো পুলিশের একটি যাত্রীবাহী বিমান নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজের সময় ওই বিমানটিতে যাত্রী ছিলো ১২ জন। বর্তমানে বিমানের সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২২ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বিমানটি সিঙ্গাপুরে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছানোর কথা থাকলেও এখন কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে বিমানটি উদ্ধারে সিঙ্গাপুর সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ অভিযান শুরু করেছে। খবর- চ্যানেল নিউজ এশিয়া

এর আগে ব্রাজিলের ক্লাব ফুটবল দলসহ ৮১ যাত্রীবাহী একটি বিমান কলম্বিয়ায় বিধ্বস্তের পাঁচদিনের মাথায় ইন্দোনেশিয়ার বিমানের সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর জানা গেল।

সিঙ্গাপুর সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (সিএএএস) বলছে, ইন্দোনেশিয়া পুলিশের নিখোঁজ যাত্রীবাহী ওই ছোট বিমানের অবস্থান জানতে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। সিঙ্গাপুরের উদ্ধার সমন্বয়কারী কেন্দ্র এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

সিএএএস বলছে, পি৪২০১-এর বিমানের ওই ফ্লাইটে ১২ যাত্রী ছিলেন। স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২২ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

এর আগে, ইন্দোনেশিয়ার পাঙ্কাল পিনাং শহর থেকে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২৪মিনিটে বিমানটি যাত্রা শুরু করে। বিমানটি ১১টা ৫৮মিনিটে সিঙ্গাপুরের বাতাম শহরে পৌঁছানোর কথা ছিল। রাডারের সঙ্গে যাত্রীবাহী ওই বিমানটির সর্বশেষ যোগাযোগ ছিল ইন্দোনেশিয়ার তানজং পিনাং শহর থেকে ৪০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আকাশে থাকাকালীন।

সিএএএস আরো বলছে, উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ দুটি জাহাজ প্রস্তুত রেখেছে। এছাড়া নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধানে দুটি সুপার পমা ও ফকার-৫০ হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে ইন্দোনেশিয়া।

এর আগে ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ায় ১৬২ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার এশিয়ার একটি যাত্রীবাহি বিমান নিখোঁজ হয়। ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল এয়ার এশিয়ার বিমান কিউজেড-৮৫০১ বিমানটি। ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে বিমানটি। সিঙ্গাপুরের ছাঙ্গিতে বিমানটির অবতরণ করার কথা ছিল সাড়ে ৮টা নাগাদ, কিন্তু ৪২ মিনিট পর সকাল ৬টা ১৫ নাগাদ জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে এয়ারবাস এ৩২০-২০০ বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বিমানে ১৫৫ জন যাত্রী ও ৭ ক্রু সদস্য ছিলেন। এখনও পর্যন্ত বিমানের কোনও খোঁজ মেলেনি। এয়ারএশিয়া তাদের ফেসবুক পেজে এই ঘটনার দুঃখপ্রকাশ করেছে। ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার আগে বিমানটি রুট পরিবর্তনের আর্জি জানিয়েছিল। মন্ত্রকের এক কর্তা হাদি মুস্তাফা জানান, প্রাথমিক অনুমান, কালিমন্তন ও বেলিতুং দ্বীপের মধ্যবর্তী অঞ্চলে বিমানটি নিখোঁজ হয়েছে। ওই বিমানে যাত্রীদের মধ্যে ১৪৯ জন ইন্দোনেশীয়, তিন কোরীয় ও একজন করে সিঙ্গাপুরবাসী, ব্রিটিশ এবং মালয়েশীয় ছিলেন। বিমানে কোনও ভারতীয় নেই বলে জানা গিয়েছে। বিমানটির খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে। এর ঠিক দশ মাস আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ-৩৭০ বিমানটি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। অনুমান, তা ভারত মহাসাগরের অতল গভীরে ডুবে গিয়েছে. বহু চেষ্টা করেও এখনও তাঁর খোঁজ মেলেনি। এয়ারএশিয়ার বিমান নিখোঁজ সেই স্মৃতি উস্কে দিয়েছে।

শুধু এতেই থামেনি এর পরের বছর ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর (শুক্রবার) ইন্দোনেশিয়ায় যাত্রীবাহী একটি বিমান নিখোঁজ হয়। অভ্যন্তরীণ রুটে চলা বিমানটিতে ১০ জন যাত্রী ছিলেন। ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মাসাম্বা এয়ারপোর্ট থেকে স্থানীয় সময় ২টা ২৯ মিনিটে এভিয়াস্টার টুইন ওটার ডিএইচসি-৬ এয়ারক্রাফট যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই এটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!