• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইবাদতের বসন্তে ইবাদতমুখর কাটুন সারাদিন


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৩, ২০১৮, ০৩:২৪ পিএম
ইবাদতের বসন্তে ইবাদতমুখর কাটুন সারাদিন

ঢাকা : আমলের স্বর্ণপ্রহর পবিত্র রমজানুল মোবারক। ইবাদতের বসন্ত মৌসুম। মুসলিম মাত্রই পবিত্র এই মাসের আগমনে আমল-ইবাদতের প্রতি আগ্রহী হন এবং বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি আমল-ইবাদতে মনোযোগী থাকেন। এর নেপথ্যে যৌক্তিক কারণও রয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে ইখলাসের সঙ্গে রমজানের রোজা রাখে এবং ইবাদত করে, তার অতীতের পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে (বোখারি ও মুসলিম)।

এছাড়া হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো ভালো কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য কামনা করে, সে অন্য মাসে কোনো ফরজ কাজ করার সমান সওয়াব লাভ করবে। আর এ মাসে কোনো ব্যক্তি যদি একটি ফরজ কাজ করে, সে অন্য সময়ে ৭০টি ফরজ আদায়ের নেকি লাভ করবে (মিশকাত)। সুতরাং প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের উচিত রমজান মাস এলে বেশি বেশি আমল-ইবাদতে মনোযোগী হওয়া। র

মজান মাসে যেসব আমল বেশি করা যায়, সেগুলো হলো-

১. সিয়াম পালন করা- ইসলামের পাঁচটি রুকনের অন্যতম একটি রুকন হলো সিয়াম। রমজান মাসে সিয়াম পালন করা ফরজ।

২. সময় মতো নামাজ আদায় করা- সিয়াম পালনের সঙ্গে সঙ্গে সময়মতো নামাজ আদায় করার মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়।

৩. সহিহভাবে কোরআন শেখা ও তেলাওয়াত করা- রমজান মাসেই পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এ মাসের অন্যতম আমল হলো সহিহভাবে কোরআন শেখা ও তেলাওয়াত করা।

৪. সাহরি খাওয়া- সাহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে এবং সিয়াম পালনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল-বিধান।

৫. ইফতার করা ও করানো- ইফতার করা ও করানো ফজিলতপূর্ণ আমল।

৬. সালাতুত তারাবি পড়া- সালাতুত তারাবি পড়া এ মাসের অন্যতম আমল।

৭. সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়া- রমজান মাসে সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়ার মধ্যে অনেক সওয়াব ও মর্যাদা রয়েছে। যেহেতু সাহরি খাওয়ার জন্য উঠতে হয়, সেজন্য রমজান মাসে সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করার বিশেষ সুযোগও রয়েছে।

৮. বেশি বেশি দান-সদকাহ করা- এ মাসে বেশি বেশি দান-সদকাহ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে।

৯.  সামর্থ্য থাকলে উমরা পালন করা- এ মাসে উমরা করলে একটি হজ আদায়ের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।

১১. তওবা ও ইস্তেগফার করা- পবিত্র এ মাস তওবা করার উত্তম সময়।

১০. ইতিকাফ করা- রমজানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।

১১. লাইলাতুল কদরকে কদর করা- লাইলাতুল কদর তালাশ করা ও এ রাতে ইবাদত করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।

১২. সাদকাতুল ফিতরা দেওয়া- রমজান মাসের সিয়ামের ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণার্থে ফিতরা দেওয়া আবশ্যক।   

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!