• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইবিতে ছাত্রী দিয়ে ছাত্রী ধরার ফাঁদ!


ইবি প্রতিনিধি অক্টোবর ১৬, ২০১৭, ০১:৪৯ পিএম
ইবিতে ছাত্রী দিয়ে ছাত্রী ধরার ফাঁদ!

ইবি: আবাসিক হলের হাউস টিউটর (আবাসিক শিক্ষক) দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরেও মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীরা। নিজের সামাজিক অবস্থান আর মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে নির্যাতিত হয়েও নিরব থাকছে তারা। তবে নির্যাতনের বিষয়ে আবাসিক হলের নামে খোলা ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে। সেখানে ছাত্রীরা তাদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন। এমন ঘটনাই ঘটেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশ রত্ন শেখ হাসিনা।

‘শেখ হাসিনা হল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’ নামে একটি ফেসবুক পেজে চলতি মাস অক্টোবরের ৫ তারিখে সকাল ৮টা ১৯ মিনিটে একটি পোস্ট করা হয়েছে। পাঠকের স্বার্থে পোস্টিটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-‘মাননীয় প্রোভস্ট স্যার আমাদের বাঁচান। কয়েকদিন আগে আমাদের হলে যৌন নির্যাতনবিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে (শেখ হাসিনা হলে) আমাদের হলের একজন হাউস টিউটর স্যারের দ্বারা হলের ছাত্রীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

ওই শিক্ষকের নাম আমজাদ হোসেন। তিনি শুধু আমাকে না, হলের বিভিন্ন ছাত্রীকে নির্যাতন করছে। হলের ছাত্রীদেরকে  রুমে নিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলে। যেটা আমরা শুনার জন্য অভ্যস্ত নয়। স্যার আপনারও মা, বোন আছে, মেয়ে আছে। তাদের কথা চিন্তা করে হলেও আমাদেরকে রক্ষা করেন। আমজাদ স্যার আমাদের হলের পিয়াংকার কথা অনুযায়ী বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। পিয়াংকাকে স্যার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ইউজ করে। যেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এজন্য স্যার আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ। আমাদের বিভিন্ন কাজে বাধ্য করে। না করতে চাইলে আমজাদ স্যারকে দিয়ে হলের সিট কাটা হবে বলে বকাবুকি করে।’ উক্ত পোস্টে উল্লিখিত অভিযুক্ত শিক্ষক আমজাদ হোসেন ইবির আল-ফিকহ্ বিভাগের শিক্ষক।

অতীত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এর আগেও এই পেজটিতে নির্যাতনের বিষয়ে লেখালেখি দেখা যায়। ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর রাত ১০টা ৩৬ মিনিটে ভিসি স্যারের কাছে যৌন নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য আর্জি করে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছিল। পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো, ‘ভিসি স্যার আমাদের মুক্তি দিন। আমারা শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী। আমার মনে হয় আমার মত সবাই একি যন্ত্রনা ভোগ করছে। আমার একার কথা না, এ হলের ছাত্রীদের সাথে কথা বলেন। জানতে পারবেন এখানে কি সমস্যা। আমি লিখতে গিয়েও লিখতে ভয় পাচ্ছি। হলের প্রতিটি মেয়ে আমার মতো অবস্থা। তারা মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। আমাদের হলে নজর দিন স্যার। আমরা আপনার সন্তানতুল্য। আমার সতীত্ব মানে আপনার মেয়ের সতীত্ব।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!