• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইবিতে ছাত্রী-শিক্ষকের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফাঁস!


ইবি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮, ০৫:৫০ পিএম
ইবিতে ছাত্রী-শিক্ষকের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফাঁস!

কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষকের সঙ্গে নিজ বিভাগের এক ছাত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়েছে। ওই শিক্ষক ছাত্রীকে বিয়ে করার আশ্বাস দিলেও শেষ অবধি রাজি না হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর কাছে মুঠোফোনে অভিযোগ করেছেন বলেও স্বীকার করেছেন উপাচার্য।

বিভাগ ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে,  চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৮তম সিন্ডিকেটে পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ পান আব্দুল মুয়ীদ। যোগদানের পরে একই বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া রহমান পিংকির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তা গড়ায় শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত। একাধিকবার পিংকি প্রজেক্টের কথা বলে আব্দুল মুয়ীদের কুষ্টিয়া হাউজিংয়ের ভাড়া বাড়িতে একান্তে দেখা করতে যান। সেখানেই তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়।

এদিকে ওই শিক্ষকের ভাড়া বাড়িতে পিংকির আসা যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। এ সময়ে তাদের কিছু অন্তরঙ্গ ছবি প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছায়। যদিও তেমন কোনো ছবি নেই বলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক আব্দুল মুয়ীদ।

সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি ওই শিক্ষকের পারিবারিকবাবে বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। তারপর বিভিন্ন মাধ্যমে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন পিংকি। এ সময় তাদের অনৈকিত সম্পর্কের কথা জনসম্মুখে আসে। তবে শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষকের বিয়ে হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক ছাত্র ও কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক এক সাংবাদিকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে পিংকির বিরুদ্ধে।

এদিকে, সুমাইয়া রহমান পিংকির বিরুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশি এক ব্যক্তির সঙ্গে নগ্ন ভিডিও চ্যাটের স্থির চিত্র প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। তার কাছ থেকে পিংকি কয়েক দফায় টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই প্রবাসী।

এসব বিষয়ে পিংকির সঙ্গে যোগযোগ করতে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মুয়ীদ বলেন, এ রকম কোনো ছবি আমার নেই, আর বিষয়টি আমি জানি না। সাংবাদিককে টাকা দেওয়ার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছেন।

পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি আলতাফ হোসেন রাসেল বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। আর এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি।

বিষয়টি স্বীকার করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ফোনে একটি মেয়ে অভিযোগ করেছিল। আমি তাকে স্বশরীরে এসে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। কিন্তু সে কোন অভিযোগ করেনি।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!