• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইমরুলের সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন টাইগারদের


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ৭, ২০১৬, ০৯:৪০ পিএম
ইমরুলের সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন টাইগারদের

ব্যাট হাতে নিজেকে আরো একবার প্রমাণ করলেন ইমরুল কায়েস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০৪ রানে ব্যাট করছেন তিনি। ওয়ানডেতে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আজ তার হাত ধরেই জয়ের স্বপ্ন দেখছে টাইগারররা। 

অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন ইমরুল কায়েস। অবশ্য আফগানিস্তানের সঙ্গে এক ম্যাচ খেলেছিলেন। কিন্তু আশানুরুপ ভালো করতে না পারায় পরের দুই ম্যাচে আর সুযোগ পাননি মুল দলে। তবে ইংল্যান্ড সিরিজে প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরতে অঅবার মুল দলে ডাক পেয়েছেন।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে সফরকারী ইংল্যান্ড টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান বিশাল স্কোর গড়ে। দেশের মাটিতে ৩০০ এর বেশি রান তাড়া করে জেতার একটি মাত্র রেকর্ড বাংলাদেশের। সেটি ২০১৩ সালের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফতুল্লায় নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে ৩০৭ রান করেছিল। জবাবে, ৪ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ৩০৯ রান করে ৪ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা। সেই জয়কে ছাড়িয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ এখন মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সামনে।

ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ৯ ওভারে ৪৫ রান এল। কিন্তু অভিষিক্ত জ্যাক বল তার প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিলেন ১৭ রান করা তামিমকে। এরপর দুই প্রান্ত থেকেই আক্রমণের মুখে পড়ে ইংলিশরা। কিন্তু ১১ বলে ১৮ করে ফিরতে হয় সাব্বিরকে। বলকে ছক্কার মার দিয়েছিলেন। বাউন্ডারি লাইনে বলটা ধরে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার আগে উইলি বলটাকে ছেড়ে মাঠেই রেখেছেন। তারপর লাফ দিয়ে মাঠে ঢুকে বল ধরেছেন আবার। সাব্বিরের বিদায় তাতে।

ইমরুল এক প্রান্ত ধরে রেখে লড়ে যাচ্ছেন। ৫৫ বলে ফিফটি করেছেন। ১০৫ বলে সেঞ্চুরি। তাতে ১১টি চার ও ২টি ছক্কা। ইমরুলের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা এল ৬০তম ম্যাচে। কিন্তু বাংলাদেশের সামনে টার্গেট বড়। ৩১০ রানের। ৮ উইকেটে ৩০৯ রান করেছে ইংল্যান্ড। ফিল্ডাররা গোটা তিনেক নিশ্চিত ও গোটা দুয়েক হাফ চান্সের ক্যাচ না ছাড়লে রানটা আরো কম হত পারত। মাঝের তিনটি উইকেটের পতনে চাপ নিয়েই খেলছে বাংলাদেশ। তবে কক্ষ্যপথেই আছে। এই রিপোর্ট লেখার সময় ৪১ ওভারে ৪ উইকেটে ২৬৫ রান বাংলাদেশের। ইমরুল ১০৮ ও সাকিব আল হাসান ৭৩ রানে ব্যাট করছেন। এই ম্যাচ জিতলে দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার নতুন রেকর্ড হবে টাইগারদের।

১৫৩ রানে ৪ উইকেট। ২৬.১ ওভার। তখনো ম্যাচে খুব ভালো ভাবে আছে বাংলাদেশ। সাকিব আর ইমরুল বয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বাংলাদেশের আসা। ফিফটি জুটিও হয়ে যায়। ওভার প্রতি ৬ এর বেশি রান করছেন। নাগালের বাইরে যেতে দিচ্ছেন না লক্ষ্যকে।

এদিন ৬৩ রানে ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। জেমস ভিন্স (১৬), জ্যাসন রয় (৪১) ও জনি বেয়ারস্টো (০) ফিরেছেন। শফিউল, সাকিব ও সাব্বিরের দারুণ থ্রোর ফল। এরপর ২৬.৩ ওভারে ১৫৩ রানের জুটি গড়েন স্টোকস ও অভিষিক্ত ২১ বছরের বেন ডাকেট। কিন্তু তাসকিনের বলে ৬৯ রানের সময় মাহমুদ উল্লাহ ক্যাচ ছাড়লে বেঁচে যান স্টোকস। পরের ওভারে ব্যক্তিগত ৭১ রানে স্টোকস আরেকটি জীবন পান অধিনায়ক মাশরাফির বলে মোশাররফ ক্যাচ ছাড়লে। শেষ পর্যন্ত ১০১ রান করে মাশরাফির শিকার হন স্টোকস।

বেন ডাকেট তার আগে ৬০ রান করে ফিরেছেন। তবে অধিনায়ক জস বাটলার তাণ্ডব চালালেন। ৩৮ বলে করেছেন ৬৩। যদিও ৩৯ রানে জীবন পেয়েছেন। ক্রিস ওকসের সাথে ওভার প্রতি ১১'র বেশি গড়ে ৬৩ রানের জুটি গড়ে গেছেন বাটলার। স্পিনারদের এমন চমৎকার খেলেছেন ইংলিশ বোলাররা যে মোশাররফ ও মাহমুদ উল্লাহ ৩ ওভারের বেশি বল করতে পারেননি। মাশরাফি, সাকিব ও শফিউল দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!