• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইমেজ সংকটে তাহসান-মিথিলা, হতাশ ভক্তকূল


বিনোদন প্রতিবেদক জুলাই ২২, ২০১৭, ০৩:০০ পিএম
ইমেজ সংকটে তাহসান-মিথিলা, হতাশ ভক্তকূল

ঢাকা: মিডিয়ায় যারা কাজ করেন, সেই মানুষদের নিয়ে মিডিয়ার বাইরে দুর্ণামের অভাব নেই। বিশেষ করে ‘সম্পর্ক’ টিকিয়ে রাখা, না রাখার বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় নানা ধরনের কানাঘুষা শোনা যায়। সাধারণ মানুষেরা তারকাদের সম্পর্ক, প্রেম, বিয়ে নিয়ে প্রায়শই ঠাট্টা তামাশা করে থাকেন। বেশীর ভাগ সময় সাধারণ মানুষের এমন অনুমান বাস্তব হলেও মিডিয়াতেই এমন কেউ কেউ থাকেন, যাদের সম্পর্কে টুঁ শব্দটি করার আগে বহুবার ভাবতে হয়। তেমনি এক মিডিয়া দম্পতি ছিলেন তাহসান-মিথিলা!

মিডিয়ায় যারা কাজ করেন তাদের কাছে নাকি কোনো সম্পর্কই ‘অ্যাপসোলিউড’ নয়। তাদের ইচ্ছা, খেয়াল খুশি মতো যখন ইচ্ছে হয় পুরনো সম্পর্ক ছেড়ে নতুন সম্পর্কে জড়ান। মিডিয়ার মানুষদের নিয়ে এমন ‘গসিপ’ নতুন নয়। কিন্তু পৃথিবীর প্রায় সব শোবিজ অঙ্গনে এমন অসংখ্য তারকা পাওয়া যাবে, যারা এমন গসিপের উর্দ্ধে। মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত কাজ করেও অসংখ্য তারকার উদাহারণ দেখানো যাবে যারা নিজেদের দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে সৎ জীবন যাপন করে গেছেন। এবং যাচ্ছেন। বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনেও এমন দৃষ্টান্ত বিরল নয়! ছোট পর্দার জনপ্রিয় দম্পতি জুটি তাহসান-মিথিলাকেও ঠিক এমনি ভাবতে শুরু করেছিলেন তাদের ভক্ত অনুরাগীরা। আর তাইতো তাদের বিচ্ছেদের কথা শুনে ‘হতবাক’ অনেক ভক্ত শুভাকাঙ্ক্ষি। তারা বলছেন, ‘পৃথিবীতে তাহলে আর সম্পর্ক বলে কিছু থাকলো না!’

সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার চেয়ে মানুষ বিষয়টি কিভাবে নেয়, এটা নিয়েই ভয়ে ছিলেন তাহসান-মিথিলা। তাদের প্রতি মানুষের, তাদের ভক্তদের যে বিশ্বাস তৈরি হয়েছিলো সেটা নিয়েই চাপে ছিলেন তারা। যাকে তাহসান-মিথিলা বলছেন ‘সামাজিক চাপ’! নিজেদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না এটা খুব সহজ ব্যাপার, কিন্তু দুই বছর আগে থেকে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের বিষয়টির জন্ম হলেও শুধু মাত্র ‘মানুষ কিভাবে নিবে!’ এমন ভাবনা থেকেই এক ধরনের সামাজিক চাপে শীতল সম্পর্ককে তারা বয়ে চলেছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ততো একটা সমাধানে আসতেই হয়। তাই হঠাৎ ফেসবুকে নিজের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তাহসান-মিথিলা। আর এমন ঘোষণার পর তাদের ভাবনায় সত্যি হয়, যা নিয়ে ভয়ে ছিলেন তারা। তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদ নিয়ে সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে সোশাল সাইটেও শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।

আর মানুষের এমন প্রতিক্রিয়ায় বর্তমানে বেশ চাপে আছেন তাহসান-মিথিলা। এমনকি মিডিয়ায় ইমেজ সংকটেও আছেন তারা। ফেসবুকে তাদের বিচ্ছেদের খবরটি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তাহসানের সেই পোস্টটিতে হাজার হাজার কমেন্ট পড়তে থাকে। বিচ্ছেদের খবরটি শেয়ার করেন অসংখ্য মানুষ। তাদের বিচ্ছেদ কেউ মানতে পারেননি। স্ট্যাটাসে যদিও ভক্ত অনুরাগীদের কাছে বিচ্ছেদ পরিবেশ কাটিয়ে উঠতে ভরসা প্রত্যাশা করেন তাহসান-মিথিলা, কিন্তু উল্টো মানুষের প্রতিক্রিয়ায় সেই স্ট্যাটাসটি শেষ পর্যন্ত সরিয়ে নেন তাহসান। এমনকি নিজের যে ফেসবুক আইডি ছিলো, সেটাও ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন। আর এখন মোবাইল ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না তাহসানকে, ফোনটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে তার।    

অন্যদিকে সামাজিক চাপে মিথ্যে সম্পর্ক বয়ে চলার বিষয়টি আগে থেকেই কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন তাহসান-মিথিলাকে নিয়ে নাট্য নির্মাণকারীদের কেউ কেউ। কিন্তু তারাও তাহসান-মিথিলার ব্যক্তিগত বিষয়ে ছিলেন একেবারেই চুপ। কেনো হঠাৎ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিলেন তাহসান-মিথিলা সে বিষয়টিও এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও তাদের সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়াতে নানা ধরনের গসিপ হচ্ছে, নানা ধরনের গল্প ফাঁদছেন অনেকে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এখন তাহসান-মিথিলার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় ভক্তকূলের মায়াকান্নায় দেখার মতো! তাদের অজান্তেই যা আরো চাপে ফেলছে তাহসান-মিথিলাকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Wordbridge School
Link copied!