• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলামে পর্দার গুরুত্ব


কামরুজ্জামান সোহাগ জুন ৭, ২০১৬, ০৪:২৪ পিএম
ইসলামে পর্দার গুরুত্ব

পর্দা আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নির্দেশ। নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দা করা ফরজ। এর সুফল দুনিয়া ও আখিরাতে পাওয়া যাবে।

নারী-পুরুষকে পর্দার নির্দেশ দিয়ে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক বলেন, ‘হে রাসূল! ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন, তারা তাদের দৃষ্টি নত করুক আর গুপ্ত অঙ্গগুলো ঢেকে রাখুক। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতা এবং ঈমানদার নারীদের বলে দিন, তারা তাদের দৃষ্টি নত করুক আর গুপ্ত অঙ্গগুলো ঢেকে রাখুক এবং যেটুকু বের না করলে চলে না শুধু সেটুকু ছাড়া অন্য কোনো অঙ্গের সৌন্দর্য যেন প্রদর্শন না করে।’ (সূরা নূর :৩০-৩১)

ইসলামে পর্দা নারীদের জন্য অলঙ্ঘনীয় বিধান। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে মুসলিম নারীদের জন্য বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটা কারও নিজ ইচ্ছায় স্বাধীন এখতিয়ারভুক্ত বিষয় করা হয়নি। নারীদের বোরকা পরার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে নবী। আপনার স্ত্রী, কন্যা ও ঈমানদার লোকদের স্ত্রীদের বলে দিন তারা যেন নিজেদের ওপর তাদের জিলবাবের অংশ (বোরকা) ঝুলিয়ে দেয়। এটি অতি উত্তম ব্যবস্থা যে, তাদের চিনতে পারা যাবে এবং তাদের উত্ত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান’ (সূরা আহযাব, আয়াত :৫৯)। হজরত মোহাম্মদের (সা.) যুগসহ খুলাফায়ে রাশেদিনের যুগে নারী-পুরুষ সবাই পর্দার বিধান মেনে জীবনযাপন করেন। নারীরা পর্দানশিন হয়ে প্রয়োজনে বাইরে যেতেন। জিহাদের ময়দানেও তারা পর্দা বজায় রাখতেন। পর্দা মুসলিম মেয়েদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট ইউনিফর্ম।

প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট ইউনিফর্ম থাকে। সুনির্দিষ্ট ইউনিফর্ম না পরলে তাকে সংশ্লিষ্ট পেশার অযোগ্য মনে হয়। তেমনিভাবে মুসলিম মহিলাদের সুনির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরানো ইসলামের বিধান। পর্দা নারীর ভূষণ। পর্দার বিধান মান্য করার মাঝেই নারীর সঠিক মর্যাদা ও অধিকার সুসংরক্ষিত হয়। আর এতে নারীর জন্য বহুবিধ কল্যাণ ও মঙ্গল নিহিত।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!