• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইসি আইন চিন্তা-ভাবনা করে প্রণয়ন করা উচিত


আদালত প্রতিবেদক জানুয়ারি ১২, ২০১৭, ০৯:৫০ পিএম
ইসি আইন চিন্তা-ভাবনা করে প্রণয়ন করা উচিত

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত আইনের একটা সুদূর প্রসারি প্রভাব আছে তাই আইনটি  চিন্তা-ভাবনা করে প্রণয়ন করা উচিত বলে মনে করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘  আমার মনে হয়, এই আইনটা কিন্তু ঝটপট তৈরি করা যায় না। এটার একটা সুদূর প্রসারী ইফেক্ট আছে। সে কারণে এই আইনটা চিন্তা-ভাবনা করে করা উচিত। সেক্ষেত্রে আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশনার অপেক্ষা করছি।’

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘অধস্তন আদালত ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণে আইন ও বিচার বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অধস্তন আদালতের বিচারকদের ‘ই-প্রকিউরমেন্ট’ বিষয়ক  প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন মন্ত্রী  বলেন, তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যা চিন্তাই করা যায় না। এখন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে । বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বর্তমান সরকারের আমলে বিচার বিভাগের প্রত্যেক বিচারক কোন না কোন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হবেন।

তিনি বলেন, আমাদের বিচার বিভাগকে অবশ্যই বিশ্ব মানের হতে হবে। আমাদের বিচারকরা যাতে পৃথিবীর উন্নত বিচার ব্যবস্থা থেকে কখনই পিছিয়ে না থাকেন কিংবা কখনই হীনমন্যতায় না ভোগেন সে কারণে বর্তমান সরকার তাঁদের প্রশিক্ষণের উপর জোর দিয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি এর পারিপার্শ্বিক দিকগুলো উপলব্ধি করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বেমি যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে বিজ্ঞ বিচারকদের আর্থিক স্বাধীনতা। সেজন্যই তাঁদের বেতন-ভাতা ব্যাপক হারে বাড়ানো হয়েছে। 
তিনি বলেন, বিচারকদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই শুরু হয়েছে। বিচার বিভাগে বিভিন্নভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। আমার বিশ্বাস বিচারকরা বিচার বিভাগে তাঁদের অবদানের মাধ্যমে সেইসব উন্নয়নের অংশীদার হবেন।

পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরানো নিয়ে নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগের টানা পড়েন চলছে এমন প্রশ্নের উত্তরে  তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের কোন টানা পড়েন চলছেনা। ট্রাইব্যুনাল সরানোর বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির দপ্তর থেকে এ বিষয়ে দুবার চিঠি পেয়েছিলাম। দুবারই তাদের সিদ্ধান্ত  পুনর্বিবেচনার জন্য বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আপনাদের এটুকু জানাতে পারি, আমাদের এ বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং আশা করি এখান (পুরাতন হাইকোর্ট ভবন) থেকে ট্রাইব্যুনাল সরাতে হবেনা।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. শেখ গোলাম মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!