• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইস্তাম্বুলে কিছুই বদলাবে না!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ১, ২০১৬, ১০:৩৯ পিএম
ইস্তাম্বুলে কিছুই বদলাবে না!

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যথারীতি কর্মচঞ্চল। ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার দুই দিন পর সেখানে যাত্রীদের সেলফি তুলতেও দেখা গেছে। তবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থার খুব একটা অগ্রগতি হয়নি।

গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। ইউরোপের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরটিতে গত মঙ্গলবার রাতে চালানো হামলায় ৪৪ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় আড়াই’শ মানুষ। হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। হামলার পর বিমানবন্দরের কর্মীরা সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভাঙাচোরা বস্তু পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেন। ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামতের যথাসাধ্য চেষ্টা করেন তাঁরা।হামলার পর বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিছু ফ্লাইট অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম জানান, প্রায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিমানবন্দরে ফের বিমান চলাচল শুরু হয়। কীভাবে বিমানবন্দরের পরিস্থিতি ঠিক হলো- এ ব্যাপারে সেখানকার এক পর্যটন নির্বাহী বলেন, তা আমি জানি না। কিন্তু এটুকু জানি, বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মাথায় ফের স্বাভাবিকভাবে ফ্লাইট চলাচল করতে সক্ষম হয়। হামলার পর দেশটির বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কর্মী যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী ইলদিরিম। গত বৃহস্পতিবার আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কিছু বাড়তি নিরাপত্তা লক্ষ করা গেছে। তবে সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা এখনো পর্যাপ্ত ও নিশ্চিদ্র নয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী আদৌ কোনো দিন আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ বিমানবন্দরেরই এক নিরাপত্তাকর্মী। নাম প্রকাশ করে ওই নিরাপত্তাকর্মী বলেন, কিছুই বদলাবে না। যা ঘটেছে, তা তুরস্কের বর্তমান অবস্থারই প্রতিচ্ছবি। আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করছে তুরস্ক সরকার।

দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘যৌথ প্রতিরোধের’ আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের এই আহ্বানের প্রতি খুব কমই আস্থা আছে বলে জানালেন নাম প্রকাশ না করা এক কুর্দি। তিনি বলেন, এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে, বর্তমান একেপি সরকার সত্যিকারের সন্ত্রাসীদের চেয়ে কুর্দিদের দমনেই বেশি মনোযোগী।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!