• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদশেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, বাড়ছে যাত্রীদের ভিড়


বরিশাল ব্যুরো জুন ১৯, ২০১৮, ০৭:৩২ পিএম
ঈদশেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, বাড়ছে যাত্রীদের ভিড়

বরিশাল : ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে বরিশালের মানুষ। এ জন্য লঞ্চ ও বাসস্ট্যান্ডে ক্রমশই ভিড় বাড়ছে। মঙ্গলবার (২১ জুন) বরিশাল নৌ বন্দর থেকে ১৩টি লঞ্চ রাজধানীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। একইভাবে কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডেও যাত্রীদের চাপ ছিল বেশ। যে কারণে পথে পথে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। নৌ বন্দর ও বাস টার্মিনালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে।

সরেজমিনে বরিশাল নৌ বন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, লঞ্চঘাটের গেট থেকে ভিড় শুরু হয়েছে। কেবিনের সামনে সামনে মানুষ চাদর বিছিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। লঞ্চের ছাদে যাত্রী নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও যাত্রীদের ছাদে চরে যেতে দেখা গেছে। মিজানুর রহমান নামে রাজধানীর এক চাকরিজীবী জানান, দেখতে দেখতে ঈদ শেষ হয়ে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ফের ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি। কিন্তু লঞ্চের কেবিনের সামনেও যাত্রীরা বিছানা পেতে বসে আছে।

ঝালকাঠির বিনয়কাঠি ইউনিয়নের কড়াপুর সুগন্ধিয়া এলাকার বাসিন্দা রাসেল হাওলাদার জানান, তিনি ঢাকায় একটি আইটি ফার্মে কাজ করেন। যাওয়ার টিকেট পাননি। মঙ্গলবার লঞ্চের ডেকে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন তিনি। বিকেলে লঞ্চ ঘাটে এসে কোনো লঞ্চের ডেকের স্থান পাননি তিনি। সব স্থানই আগে থেকে বুক করা ছিল চাদর দিয়ে। পরে সুন্দরবন লঞ্চের এক স্টাফকে ১০০ টাকা দিয়ে একটি চাদরের জায়গা নেন তিনি। তবে এমভি পারাবাত লঞ্চের মাস্টার শামিম আহমেদ বলেন, যাত্রী অপেক্ষা তাদের লঞ্চ সার্ভিস পর্যাপ্ত রয়েছে। কর্মস্থলে ফিরতে তেমন সমস্যা হবে না।

একইভাবে কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে ছিল ভিড়। বাসে সিট না পেয়ে কেউ ইঞ্জিন বক্স আবার কেউ ছাদে উঠেছেন। শুধু বাসই নয় মাইক্রোবাসে করেও যাচ্ছেন অনেকে। বেসরকারি একটি বিমানে কর্মরত মো. জুয়েল নামে এক যাত্রী বলেন, ঈদের ছুটিতে বরিশালে এসেছিলেন তিনি। পরিবারসহ বন্ধুদের সঙ্গে এবারের ঈদ পালন করেছেন। অফিস করতে হবে তাই তিনি বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আসার মতো যাওয়ার পথেও  দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

ঢাকা সেনা কল্যাণ ভবনের একটি বেসরকারি সংস্থায় সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম জানান, তার বাড়ি গৌর নদীর টর্কি বন্দর থেকে একটি মাহিন্দ্রা প্রাইভেটভাবে ভাড়া করে বরিশাল লঞ্চ ঘাটের উদেশে রওনা দেন তারা। পথে বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির সেতু ও শহীদ আব্দুল জলিল সেতু এলাকায় বাস মালিক সমিতির বাঁধার মুখে পড়েন তারা। মাহিন্দ্রা থেকে তাদের নামিয়ে দেয়া হয়। পরে বাসে উঠে যেতে বাধ্য করে বাস মালিকরা।

বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আফতাব হোসেন জানান, যাত্রীদের চাপ ক্রমশ বাড়ছে।

বুধবার থেকে চাপ আরো বাড়তে পারে। যাত্রীদের চাপ সামলাতে প্রতিটি বাস কোম্পানি অতিরিক্ত বাস সার্ভিসে দিয়েছে। বরিশাল নৌ থানার ওসি বেল্লাল হোসেন জানান, ঈদের পর কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ছিনতাইকারী, মলমপার্টি রোধে সতর্ক রয়েছেন তারা। তাছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তারাও বন্দরে নজর রাখছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!