• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে ওয়ালটনের গ্লাস ডোর ও ডিপ ফ্রিজ


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৬, ২০১৮, ০৫:৪৭ পিএম
ঈদে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে ওয়ালটনের গ্লাস ডোর ও ডিপ ফ্রিজ

গাজীপুরের চন্দ্রাতে ওয়ালটন কারখানায় রপ্তানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া উপযোগী ফ্রিজ।

ঢাকা : আর ক’দিন পরেই ঈদুল আজহা বা কোরবানি ঈদ। কোরবানির গোসত সংরক্ষণের পাশাপাশি সারা বছরের প্রয়োজন মিটানোর তাগিদে এ সময়ে ফ্রিজ কেনেন ক্রেতারা। তাই কোরবানি ঈদের আগে দেশে ফ্রিজ বিক্রি ও চাহিদা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে। তবে, এই ঈদে বিপুল পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটনের টেম্পারড গ্লাস ডোরের ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর ও ডিপ ফ্রিজ।

সূত্রমতে, কোরবানি ঈদে ফ্রিজের বাড়তি চাহিদাকে ঘিরে ৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছিল ওয়ালটন। টার্গেট পূরণে ১৪৫ মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, স্মার্ট এবং ডিপ ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এর মধ্যে নতুন এসেছে ৫৩ মডেলের ফ্রিজ। এসব ফ্রিজের মধ্যে ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা অর্জন করেছে চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের টেম্পারড গ্লাস ডোরের ফ্রিজ। পাশাপাশি, ঈদকে ঘিরে ওয়ালটন ডিপ ফ্রিজের বিক্রিও ব্যাপক বেড়েছে। ফলে, এরই মধ্যে কোরবানি ঈদের ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটির।

কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা-ফ্রিজ বিক্রির ধারবাহিকতা বজায় থাকলে ঈদ শেষে বিক্রি ৬ লাখে পৌঁছবে।

এদিকে ‘ঈদের খুশি জমবে ভারী, নতুন গাড়ির ছড়াছড়ি’ এই স্লোগানে গত জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে দেশব্যাপী ঈদ মেগা ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পাচ্ছেন নতুন গাড়ি, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ অসংখ্য পণ্য সম্পূর্ণ ফ্রি। ওই সব সুবিধা না মিললেও পাচ্ছেন নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। ক্রেতারা এসব সুবিধা পাবেন আগামি কোরবানি ঈদ পর্যন্ত।

জানা গেছে, ঈদ মেগা ক্যাম্পেইনের আওতায় এখন পর্যন্ত ফ্রিজ কিনে নতুন গাড়ি পেয়েছেন মোট ৪ জন। গাড়ি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন- ঢাকার পুলিশ কনস্টেবল আরাধন চন্দ্র সাহা, চট্টগ্রামের গৃহিণী সীমা শীল, রংপুর পীরগঞ্জের কৃষক টিটু মিয়া ও চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়ার টিশু দাশ।

ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার বলেন, এবারের কোরবানি ঈদে গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটনের ১২৬ থেকে ২৯৫ লিটারের ফ্রিজগুলো। বিশেষ করে, মোট ফ্রিজ বিক্রির ৬০ শতাংশের বেশি বিক্রি হচ্ছে টেম্পারড গ্লাস ডোর মডেলের ফ্রিজগুলো। পাশাপাশি, আশাতীত বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটনের ডিপ ফ্রিজগুলো। বিক্রির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ৬ লাখের মত ফ্রিজ বিক্রি হবে বলে তিনি আশাবাদী।

বিপণন কর্মকর্তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে বাজারে আসা ১৪৫ মডেলের ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে ১০৩ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ, ৩১ মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ ও ১১ মডেলের ডিপ ফ্রিজ। এর মধ্যে ফ্রস্ট ফ্রিজে নতুন এসেছে ৪১টি মডেল, নন-ফ্রস্টে ৮টি মডেল এবং ডিপ ফ্রিজে ৪টি মডেল।

এবারের ঈদে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে টেম্পারড গ্লাস ডোরে তৈরি ওয়ালটন ফ্রস্ট ফ্রিজ। এসব ফ্রিজের দাম পড়ছে  ২৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ঈদে এসেছে বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং’ সনদ প্রাপ্ত ৩ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ। এসব ফ্রিজের দাম পড়ছে ২৮ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে ২৯ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

ছোট পরিবার কিম্বা ব্যাচেলরদের ব্যাবহার উপযোগী ৫০ লিটার ও ১০৭ লিটার আয়তনের দুটি নতুন মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। দাম পড়ছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯০০ ও ১৪ হাজার ২০০ টাকা। ওয়ালটনের ৩১ মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে ইনভার্টার প্রযুক্তির রয়েছে ১০টি মডেল। এর মধ্যে নতুন যুক্ত হয়েছে সাইড বাই সাইড বা পাশাপাশি দুই দরজা’র ৫০১ লিটারের রেফ্রিজারেটর এবং তিন-দরজা বিশিষ্ট ৪৫৫ লিটার ও ৪৫২ লিটারের রেফ্রিজারেটর। আরো রয়েছে ৩২৮ লিটারের ডিজিটাল ডিসপ্লে ও ফাইভ স্টার সনদ প্রাপ্ত ৩২৮ লিটারের দুটি নতুন মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর।

ওয়ালটনের ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজারের মধ্যে ৪টি নতুন মডেল সহ রয়েছে মোট ১১টি মডেল। এবারের কোরবানি ঈদে গ্রাহকদের জন্য ওয়ালটনের নতুন চমক হচ্ছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের ১৪৬ লিটারের টেম্পারড গ্লাস ডোরের ডিপ ফ্রিজ। ওয়ালটন ডিপ ফ্রিজের দাম পড়ছে ১৯ হাজার ৯৫০ টাকা থেকে ৩১ হাজার ২৯০ টাকা পর্যন্ত।
 
ওয়ালটনের ফ্রিজ গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার জানান, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত টেম্পারড গ্লাস ডোর বিশ্বের যেকোনো ব্র্যান্ডের গ্লাস ডোর ফ্রিজের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি টেকসই ও মজবুত বলে ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রো কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত।

তিনি বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজের দরজায় ব্যবহার করা হয়েছে ৯-লেয়্যার ভিসিএম ডোর। এর ফলে সহজে মরিচা ও দাগ পড়ে না। ডোর হয় দীর্ঘস্থায়ী এবং উজ্জ্বল। ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজের মান নিশ্চিত করেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে। তাই, স্থানীয় বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ।

জানা গেছে, ওয়ালটন ফ্রিজে দেয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি সুবিধা। এছাড়াও, কম্প্রেসারে রয়েছে দশ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা। আরো আছে ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। এছাড়াও ওয়ালটন ফ্রিজে রয়েছে সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা।

স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, মধ্য-প্রাচ্য ও আফ্রিকাসহ বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশে বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিকমান সম্পন্ন ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির এই তালিকায় চলতি মাসেই যুক্ত হচ্ছে মধ্য-প্রাচ্যের দেশ ইয়েমেন। পাশাপাশি, এ মাসেই লেবাননে দ্বিতীয় ধাপে বিপুল পরিমান ফ্রিজ যাচ্ছে। ফ্রিজের পাশাপাশি এর যন্ত্রাংশও বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করছে ওয়ালটন।

আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দ্রুত সর্বোত্তম সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন। সারাদেশে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। বিক্রয়োত্তর সেবায় গ্রাহকদের হোম সার্ভিস দিচ্ছে ওয়ালটন। গ্রাহকরা যেকোনো মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল দিয়ে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। তথ্য প্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডার। ওয়ালটনের এই সেবা এরইমধ্যে গ্রাহকমহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!