• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের পর আন্দোলনে নামছেন পৌরসভার কর্মচারীরা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২০, ২০১৭, ১০:৪১ পিএম
ঈদের পর আন্দোলনে নামছেন পৌরসভার কর্মচারীরা

ঢাকা: সুদীর্ঘ সময় বেতন-ভাতা না পাওয়ায় সারা দেশের পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের পর আন্দোলনে নামছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন এই কমিটি গোপালগঞ্জের টুঙ্গি পাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। টুঙ্গিপাড়ার প্রথম সভাতেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঈদের পর থেকেই সারাদেশে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মসূচী পালনে যাবেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ঈদের পর সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রতি সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা, স্ব স্ব পৌরসভায় এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন। এক দফা দাবি আদায়ে ও সংগঠনকে  শক্তিশালী করতে বিভাগীয় শহরে সমাবেশের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। এর শুরুটা হবে খুলনা বিভাগ থেকে। আসছে ৭ জুলাই প্রথম বিভাগীয় সমাবেশ হবে খুলনায়। এরপর ১৫ জুলাই রাজশাহী, ২২ জুলাই রংপুর, ২৯ জুলাই সিলেট, ২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম ও ৯ সেপ্টেম্বর বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও শহীদ মিনার চত্বরে মহাসমাবেশ হবে।

প্রায় অধিকাংশ পৌরসভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে জানিয়ে গাইবান্ধা পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার সোনালীনিউজকে বলেন, ‘পৌর কর্মচারীদের প্রাণের দাবী চাকরি জাতীয়করণের এক দফা আদায়ের লক্ষ্যে চলমান কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সুফল না এলে আন্দোলন ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না।’ 

সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এক দফা দাবী আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু তেমন কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আশা করি, নব গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঈদের পর তৃণমূলের ৩২৭টি পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক সময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা পৌরসভা থেকে তাদের বেতন-ভাতা পেতেন। পরবর্তীতে তাদের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়। অথচ স্বাধীনতার দীর্ঘ সময়েও পৌরসভার কর্মচারীরা অবহেলিত।’ 

বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক বিপুল কুমার সাহা বলেছেন, ‘আমাদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সংসদে আলোচনা হচ্ছে। মেয়র এসোসিয়েশন (ম্যাব) আমাদের পক্ষে আছে। আমরা দাবি আদায় করেই ছাড়ব।’ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পাটোয়ারিও অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১ থেকে ৩৬ মাসের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। পৌরসভার কর্মচারীদের অভূক্ত রেখে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার বিষয় চিন্তাও করা যায় না।’

কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কে ভেবেছিল বেসরকারী স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ হবে, এটা হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। আমরাও প্রধামন্ত্রীর সুদৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছি।’

বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল আলিম জানান, সরকারের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, ‘ সরকারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত আছে। আলোচনা বা আন্দোলন যে ভাবেই হোক এক দফা দাবি আদায় করা হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আইনি সহায়তা পেতে হলে আমাদের সংগঠনের নিবন্ধন পেতে হবে।’ 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/আতা

Wordbridge School
Link copied!