• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব-২০১৬

‘উচ্চাঙ্গ সংগীত শুনতে কান লাগে’


বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ২৫, ২০১৬, ০১:৫০ পিএম
‘উচ্চাঙ্গ সংগীত শুনতে কান লাগে’

ঢাকা: উচ্চাঙ্গ সংগীত শুনতে পারা মানুষটি কখনো হিংস্র হতে পারে না। আর এটা সবার দ্বারা শোনা সম্ভবও না। এমন কথার ইঙ্গিতই যেনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় বলছিলেন বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীতের পঞ্চম আসরের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতে সরগরম হয়ে উঠে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীতের চলতি আসরের প্রথম দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে দেশ বিদেশের শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের নিয়ে মঞ্চে উঠেন আবুল খায়ের, প্রধান অতিথি আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং বিশেষ অতিথি ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর।

ছবি: মাহবুব আলম

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন,উচ্চাঙ্গসংগীত অনুধাবন করতে হলে কান প্রস্তুত করতে হয়। এজন্য সময় লাগে। যার কান তৈরি হয়ে যায় সে কখনও হিংস্র হতে পারে না। আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন এই উচ্চাঙ্গসংগীতের অনুষ্ঠানকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শাস্ত্রীয় উৎসব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারা।

অন্যদিকে বিশেষ অতিথি হিসেবেও উচ্চাঙ্গ সংগীতের আয়োজকদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান আসাদুজ্জামান নুর। তার বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর হলি আর্টিজান, শোলাকিয়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণ করেন। তিনি মনে করেন এসব ঘটনা প্রতিরোধ করতে হলে এমন বিশাল পরিসরে সাংস্কৃতিক পরিবেশ অব্যাহত রাখতে হবে। শুধু তাই না,নিজেদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো সন্তানদের মাঝেও বুনে দেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সংস্কৃতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার প্রতি এক ধরনের সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ আমাদের এই উৎসব।’ মঞ্চে উপবিষ্ট অর্থমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক বিস্তারে দেশের প্রতিটি গ্রামে খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক ক্লাব করে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

অন্যদিকে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর পরই আনুষ্ঠানিক শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী বেঙ্গল আয়োজিত উচ্চাঙ্গ সংগীতের সবচেয়ে বিশাল আয়োজনটি। উৎসবের উদ্বোধনী পরিবেশনা ‘রবি-করোজ্জ্বল নৃত্যমালিকা’।পরিবেশনার দ্বিতীয় অংশে ছিল মণিপুরী নৃত্য। এরপর একে একে ভরতনাট্যম, প্রদীপনাচ, রাধাকৃষ্ণ, পুংচালাম, ওড়িশি ও কত্থক আঙ্গিক, রবীন্দ্র নৃত্যভাবনা এবং বাংলাদেশে যে কটি শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রচলিত এবং চর্চিত সেগুলো অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করেন শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দল নৃত্যনন্দন। এরপর শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে উৎসবের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল।

উদ্বোধনী দিনে দ্বিতীয় পরিবেশনা ছিলো প্রবীণ গোদখিণ্ডি ও রাতিশ টাগডের বাঁশি ও বেহালার যুগলবন্দি। তারা পরিবেশন করেন রাগ মারু বিহাগ ও হংসধ্বনি। তবলায় ছিলেন রামদাস পালসুল। তাদের হাতে স্মারক তুলে দেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি শাহ সৈয়দ কামাল।

প্রথম দিনের আয়োজনে খেয়াল পরিবেশন করেছেন বিদুষী গিরিজা দেবী। সঙ্গে তবলায় ছিলেন গোপাল মিশ্র। সরোদ পরিবেশন করেন ওস্তাদ আশিষ খান। তাকে তবলায় সঙ্গত করবেন পন্ডিত বিক্রম ঘোষ। খেয়াল যুগলবন্দি ‘জাসরাঙ্গি’ পরিবেশন করবেন বিদুষী অশ্বিনী ভিদে দেশপাণ্ডে ও পন্ডিত সঞ্জীব অভয়ংকর। তাদের সঙ্গে তবলায় থাকবেন আজিঙ্কা যোশি ও রোহিত মজুমদার। বেহালা পরিবেশন করবেন ড. এল সুব্রহ্ম্যণন। তবলায় সঙ্গ দেবেন পন্ডিত তন্ময় বোস।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Wordbridge School
Link copied!