• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ফের কঠোর নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭, ১০:০৪ এএম
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ফের কঠোর নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘের

ঢাকা: পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে গত শুক্রবার একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে।

পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধে চির বৈরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনা কঠোর এ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের সায় দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার অন্যতম প্রধান দুই মিত্র শক্তি চীন ও রাশিয়াও। নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি ১৫-০ ভোটে পাস হয়।  

এর আগেও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ আলাদাভাবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু তাতে করে দেশটিকে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যায়নি; বরং দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে নতুন করে উত্তজনা তৈরি করেছে।

ফলে এবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দশম এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে দেশটির মানুষের প্রতিদিনকার জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ উপদানকে (লাইফলাইন) টার্গেট করা হয়েছে।

জাতিসংঘ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক মাইক হান্না জানান, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দেশটির পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধে চীন ও রাশিয়ার সম্মতিও মিলেছে।

প্রস্তাবে দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ পেট্রোলিয়াম আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। উত্তর কোরিয়া বেশিরভাগ পেট্রোলিয়াম আমদানি করে প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ মিত্র রাষ্ট্র চীনের কাছ থেকে।

হান্না আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞার ফলে উত্তর কোরিয়ার আয় কমে যাবে, তাদের রাজস্ব কমে যাবে এবং তারা আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়ে ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন প্রক্রিয়া হ্রাস করবে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে ২০১৬ সালেও পেট্রোলিয়াম আমদানি বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। সেবার এর আওতায় ছিল ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম। এবার সেটি বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ লাখ ব্যারেলে। আর অপরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রে পরিমাণটি বছরে চার মিলিয়ন ব্যারেল।

এবারের নিষেধাজ্ঞায় বিভিন্ন দেশে কর্মরত উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের আগামী ২৪ মাসের মধ্যে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রবাসী আয় দেশটির অর্থনীতির অন্যতম উপাদান। একই সঙ্গে ইলেকট্রনিকস সামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পোশাকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিকি হ্যালে বলেন, ‘আবারও সীমা লঙ্ঘন করলে উত্তর কোরিয়া আরো কঠিন শাস্তির মুখে পড়বে, এটাই এই সর্বসম্মত প্রস্তাবের বার্তা।’

কিন্তু এত কিছুর পরও পিয়ংইয়ংকে তাদের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যাবে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছিল শুক্রবারের বৈঠকে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!