• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি


নিউজ ডেস্ক আগস্ট ১৪, ২০১৭, ১০:২০ এএম
উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি

ঢাকা: টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তরের চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ কিছু পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে তা প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে দিনাজপুরে বন্যায় একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে সাতজনই পানিতে ডুবে মারা গেছে। তাছাড়া সাপের কামড়ে একজন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে বন্যায় তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি, স্কুল-কলেজ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল। বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন রুটের রেল যোগাযোগ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত।

দিনাজপুর: জেলায় বন্যায় একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে সাতজনই পানিতে ডুবে মারা গেছে। তাছাড়া সাপের কামড়ে একজন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এরা হলেন বিরল উপজেলার হাসিলা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে চুমকি (১৩), ছেলে শহিদ আলী (১০) ও সিয়াদ (৭), প্রতিবেশী সাঈদ হোসেনের ছেলে সিহাদ (৭), দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী ঢিবিপাড়া এলাকার মেহেদী হাসান (১৫), মির্জাপুর এলাকার আবু নাইম (১৩), বিরল উপজেলার মালঝাড় এলাকার বাবলু রায়ের স্ত্রী দিপালী রায় (৩২), সদরের দরবারপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৫৫) ও শহরের বালুবাড়ী এলাকার সাইফুল ইসলাম (৪৫)।

এদিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুপুর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৯০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান জানান, কাহারোল উপজেলায় একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৫ জন পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

কাহারোল থানার ওসি মনসুর রহমান জানান, রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় উপজেলার ঈশ্বরগ্রাম থেকে নিজের তিন সন্তান ও প্রতিবেশী এক শিশুকে নিয়ে কলা গাছের ভেলায় চড়ে বিরল উপজেলার হাসিলা গ্রামে বাড়িতে যাচ্ছিলেন আব্দুর রহমানের স্ত্রী সোনাভান বেগম। এ সময় ভেলা উল্টে তিন শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি। একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী ঢিবিপাড়া এলাকার মেহেদী হাসান (১৫), মির্জাপুর এলাকার আবু নাইম (১৩) ও সদরের দরবারপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৫৫) পানিতে ডুবে মারা যায়। নিখোঁজ রয়েছে একজন।

এছাড়াও বীরগঞ্জ উপজেলায় ১ জন শিশু মারা গেছে বলে জানা গেছে।

বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা হিসাবে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ও ৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ৫০ লাখ টাকা ও ৩০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম ১৫ জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনী বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

এদিকে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ প্রধান সব নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৬টায় ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৮ মিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ৯টি উপজেলার তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলার নয়টি উপজেলার প্রায় ৩০০ গ্রাম।

কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভেঙে গেছে কুড়িগ্রাম-ফুলবাড়ী সড়ক। রাজারহাটের কালুয়ারচরে বেড়িবাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে ২০টি বাড়ি। ফুলবাড়ী-নাগেশ্বরী সড়কে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হাজার হাজার হেক্টর জমির আমন ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে বেশ কিছু গবাদী পশু।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীতে ৮৬ সে.মি., ব্রহ্মপুত্রে ৫৮ সে.মি, দুধকুমরে ৬০ সে.মি. ও তিস্তায় ৫৫ সে.মিটার পানি বেড়েছে।

লালমনিরহাট: জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ধরলা নদী বিপদ সীমার ১০৮ সেঃমিঃ ও তিস্তা নদী বিপদ সীমার ৬৫ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাসের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় রেড এ্যালাট জারি করেছে। প্রায় এক লাখ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রেল লাইনে পানি উঠে পড়ায় রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। মোগলহাটে ও দূর্গাপুরে প্রায় তিন শতাধিক ভারতীয় পরিবার বন্যায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

তিস্তা ও ধরলার পানিতে বুড়িমারী স্থলবন্দরে হাটু পানি উঠেছে। বন্দরের সকল কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে। তিস্তা লালমনিরহাট, লালমনিরহাট বুড়িমারী রেলওয়ে লাইনের তিনটি স্থানে ভেঙে গেছে। ফলে রোববার সকাল থেকে সকল প্রকার ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভাঙনের কারণে বুড়িমারী স্থলবন্দরে একটি লোকাল ট্রেন আটকা পড়েছে। অন্য সকল ট্রেনের সিডিউল বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুল মোত্তালেব।

লাইনে পানি ওঠায় এবং লাইনের ক্ষতি হওয়ায় রোববার সকাল থেকে বুড়িমারী রেল স্টেশন থেকে পার্বতীপুরগামী কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটক পড়ে আছে। এছাড়া সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী ট্রেনটিরও সিডিউল বাতিল করা হয়েছে। চার জোড়া ট্রেন চলাচল করে এ রুটে। সব ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার রাতে এ রুটের রেললাইনের বুড়িমারী-পাটগ্রাম রেললাইনের পাটগ্রাম ব্র্যাক অফিস এলাকায় ধরলার পানির তোড়ে একটি রেলব্রিজের পাশের রেললাইন সড়ক ভেঙে গেছে। একই রুটের হাতিবান্ধা রেলস্টেশন থেকে হাতিবান্ধা আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজের মাঝামাঝি স্থানে তিস্তার পানির তোড়ে রেললাইন ভেঙে গেছে। এছাড়া এই রুটের পারুলিয়া-ভোটমারী রেললাইনের মাঝামাঝি স্থানেও তিস্তার পানির ধাক্কায় রেললাইন ভেঙে গেছে ও তিস্তা রেলস্টেশনে রেললাইনে পানি উঠেছে। ফলে এই রেলওয়ে রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এই রেলওয়ে রুট সংস্কার না করা পর্যন্ত ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে জানা গেছে।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, ভয়াবহ বন্যায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর রেলওয়ে রুটের ৭৮ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে তিনটি স্থানে ভেঙে গেছে। একটি লোকাল ট্রেন বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটক পড়ে আছে। অন্যসব ট্রেনের সিডিউল বাতিল করা হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পর এ রুটের ভাঙাস্থান গুলো সংস্কার করে আবার ট্রেন সার্ভিস চালু করা হবে। তবে কবে নাগাদ ট্রেন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে তা তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।

ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার ৫টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩২টি ইউনিয়নে বন্যার পানি উঠেছে। এসব ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ফ্লাড বাইপাসের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ হুমকীর মুখে পড়েছে। ব্যারেজ ওপর দিয়ে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ফ্লাড বাইপাস ভেঙ্গে দেয়া হতে পারে। তবে ফ্লাড বাইপাস ভেঙ্গে দেয়া নিয়ে স্থানীয় জনগণের মাঝে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ মাইকিং করে ফ্লাড বাইপাসের ভাটিতে থাকা পরিবার গুলোকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ধরলা নদীর পানির তোড়ে কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবের কুটির, বমকা, খারুয়ার চরে প্রায় ৩ শত মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। মোগলহাটে প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। ধরলা নদীর ভারতীয় অঞ্চলের বন্যা দুর্গত প্রায় তিন শতাধিক পরিবার মোগলহাট ও দূর্গাপুরে আশ্রয় নিয়েছে। মোগলহাট ও দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পে পানি ঢুকে পড়ায় ক্যাম্প দু’টি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার কথা বিজিবি স্বীকার করেছে।

এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, জেলায় ৩২টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

নীলফামারী: টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে রোববার সকালে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার ডিমলা উপজেলার ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ওই পয়েন্টে আজ সকাল ৯টায় কিছুটা কমে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ১২টায় ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শনিবার রাতে নদীর পানি অব্যাহত বাড়ার কারণে ওই সেচ প্রকল্প এলাকাসহ আশপাশে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছিল বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়।

তিস্তার ঢলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমু, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ৩০ গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে।

রাতভর টানা বৃষ্টির মধ্যে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে বিস্তার বাঁধসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়। ওই ঢলের পানি গ্রামের ছয় শতাধিক বাড়িতে প্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে নদীর পানির তোরে ডিমলা উপজেলার খালিশাচাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের গাইডবাঁধ ভেঙে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। অপরদিকে একই ইউনিয়নের বাইশপুকুর গ্রামে সেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে রোববার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর কিছুটা কমে সকাল ৯টায় ৬০ সেন্টিমিটার এবং বেলা ১২টায় ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শনিবার সকালে সেখানে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এ সময় সেচ প্রকল্প এলাকায় রেড এলার্ট জারি করা হয়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) গেট খুলে রাখা হয়েছে। এখন পানি কমার কারণে রেড এলার্ট নেই, কিন্ত পানি বাড়লে যেকোন সময় আবারো রেড এলার্ট জারি করা হবে। আমরা (পানি উন্নয়ন বোর্ড) সতর্কাবস্থায় রয়েছি।

এদিকে গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানায়, আজ সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘন্টায় জেলার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটসহ বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত চব্বিশ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রে পানি ৫৭ সে.মি. ঘাঘটে ৫৬ সে.মি. করতোয়ায় ৮৪ সে.মি. এবং তিস্তায় ৫০ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে ব্রহ্মপুত্রে পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯ সে.মি. এবং ঘাঘটে নিউব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি এবং শাঘাটা উপজেলা তলিয়ে গেছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!