• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

উপবৃত্তির দুই কিস্তির টাকা পাননি ৯৯ শিক্ষার্থী


লালমনিরহাট প্রতিনিধি মে ২৬, ২০১৭, ০৭:৫৩ পিএম
উপবৃত্তির দুই কিস্তির টাকা পাননি ৯৯ শিক্ষার্থী

প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাট: সরকারি উপবৃত্তির চার কিস্তির টাকা পেলেও মুঠোফোন নম্বরের ডিজিটে ভুল হওয়ায় পরের দুই কিস্তির টাকা পাননি লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন কলেজের ৯৯ জন কলেজ শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্ট কলেজ, ডাচবাংলা ব্যাংক ও শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পাননি তারা।

উপবৃত্তি বঞ্চিতরা হলো- সদর উপজেলার মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ ২ ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন কলেজের ৯৯ শিক্ষার্থী।

লালমনিরহাট ডাচবাংলা ব্যাংক সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাইয়ার সেকেন্ডারি স্টাইফিন প্রজেক্টের (এইচএসএসপি) দেয়া তালিকা অনুযায়ী ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পড়ুয়া লালমনিরহাটের বিভিন্ন কলেজের ২ হাজার ৩৬৬ শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন।

এর মধ্যে পাটগ্রামে ৩৮৫ জন, হাতীবান্ধার ৩৫৭ জন, কালীগঞ্জের ৫৫৫ জন, আদিতমারীর ৪১৪ জন ও লালমনিরহাট সদরের ৬৫৫ জন।

ডাচবাংলা ব্যাংক সূত্র আরো জানায়, সরকার ডাচবাংলার মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে উপবৃত্তির টাকা পাঠানোর চুক্তি করে। সে অনুযায়ী ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের এইচএসপি কর্তৃপক্ষের দেয়া তালিকা অনুযায়ী ২ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থীর মুঠোফোনে তিন দফায় ৪ কিস্তির টাকা পৌঁছে যায়।

কিন্তু লালমনিরহাট সদর উপজেলার মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ জেলার বিভিন্ন কলেজের ৯৯ জন শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরের একটি করে ডিজিট (সংখ্যা) ভুল দেখানোর কারণে তারা দুই কিস্তির টাকা এখনো পাননি।

আদিতমারীর মহিষখোচা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সরওয়ার আলম বলেন, ‘আমার কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুন ফেরদৌসির মোবাইল ফোনের একটি ডিজিট ৮ না হয়ে ০ হয়েছে। এ কারণে সে টাকা পায়নি। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এইচএসএসপি কর্তৃপক্ষকে সংশোধন করে তালিকা পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।’

ডাচবাংলা ব্যাংকের লালমনিরহাট শাখা ব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদ বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তালিকায় ভুল থাকার কারণে জেলার বিভিন্ন কলেজের ৯৯ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পায়নি। তবে সংশোধনী তালিকা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসলে আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেব।

তিনি আরো বলেন, মোবাইল ফোনের ডিজিট সংশোধন না করা হলে আমার কিছু করার নেই।

মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার কলেজের দুই শিক্ষার্থী উপবৃত্তির প্রথম ও দ্বিতীয় দফার টাকা ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই পেয়েছেন। কিন্তু একই শিক্ষার্থী ততৃীয় ও চতুর্থ দফার টাকা পাননি। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তাদের মোবাইল ডিজিট ভুল হওয়ার কারণে তাদের টাকা পাঠাতে পারছে না ডাচবাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট এইচএসএসপি প্রকল্প বরাবর কাগজপত্র পাঠিয়েছি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!