‘উপযুক্ত শাসক ছিলেন সাদ্দাম হোসেন’

ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত সাদ্দাম হোসেনের শাসন ছিল উপযুক্ত। সেদেশে হামলা ও সামরিক অভিযান ছিল ভুল সিদ্ধান্ত- এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা জন নিক্সন তার প্রকাশিতব্য একটি বইয়ে ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসেন এবং ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছেন।

দীর্ঘ ৯ মাস আত্মগোপনে থাকার পর ২০০৩ সালে মার্কিন সেনাদের অভিযানে ধরা পড়েন সাদ্দাম। এরপর ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর তার ফাঁসি হয়। সে সময় সাদ্দামকে জেরা করেছিলেন নিক্সন। তিনি জানান, যখন তিনি সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন তখন সাদ্দাম তাকে বললেন, ‘তোমরা পরাজিত হবে। তোমরা বুঝতে পারবে যে ইরাক শাসন করা এত সহজ নয়।’

নিক্সন আরো জানান, আমি তার কাছে জানতে চাইলাম এটা তার কেন মনে হলো? তখন তিনি উত্তর দিলেন, ‘তোমরা ইরাকে পরাজিত হবে কারণ তোমরা এ দেশের ভাষা, ঐতিহ্য এবং আরবদের মনোভাব সম্পর্কে কিছুই জানো না।’

বাগদাদের শিয়া সরকারের আমলে জঙ্গি সংগঠন আইএস যেভাবে নিজেদের প্রভাব বাড়িয়েছে সাদ্দামের সুন্নী সরকার থাকলে তা সম্ভবই হতো না। সাদ্দামের ব্যক্তিত্ব নিয়ে নিক্সন বলেছেন, ক্ষমতায় এসে সকলকে এক সুরে গলা মেলাতে বাধ্য করেছিলেন সাদ্দাম হোসেন।

নিক্সনের মতে, সাদ্দাম যে একেবারে খাঁটি কথা বলেছিলেন তা এখন হাড়ে হাড়েই টের পাচ্ছি আমরা। তিনিই ইরাকের উপযুক্ত শাসক ছিলেন। শিয়া অধ্যুষিত ইরানকে দমিয়ে রাখার ক্ষমতা ছিল তার। তিনি বর্বর ও অত্যাচারী বলে গলা চড়িয়েছিল অনেকেই। তা সত্ত্বেও তাকে সিংহাসনচ্যুত করা অত সহজ ছিল না। তার কঠোর দমননীতির জন্যই ইরাক জঙ্গি ঘাঁটিতে তৈরি হয়নি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ