• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উপাচার্য ছাড়াই চলছে ৩৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়!


বিশেষ প্রতিনিধি জুন ২০, ২০১৭, ০৩:৪০ পিএম
উপাচার্য ছাড়াই চলছে ৩৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়!

ঢাকা : দেশের ৩৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উপাচার্য নেই। উপাচার্য নিয়োগে আগ্রহ-ও নেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। তাই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে পদগুলো। তবু চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। সম্প্রতি উপাচার্য না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইন অনুযায়ী, সনদ দেওয়ার এখতিয়ার উপাচার্যের হলেও দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকৃত কোনো উপাচার্য না থাকায় চরম সংকটে রয়েছে ৩৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সংকট নিরসনেও উদ্যোগী নয় প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, যিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী। পদটিতে জনবল নিয়োগ আইনের বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। উচ্চ শিক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের সনদে স্বাক্ষর থাকবে উপাচার্যের। কিন্তু উপাচার্য না থাকায় এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণরা মূল সনদ নিতে পারছেন না। আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ড নিয়োগকৃত অস্থায়ী উপাচার্য মূল সনদে স্বাক্ষর করছেন। যার আইনগত কোনো ভিত্তিও নেই।
 
গেল বছরের নভেম্বরে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইউজিসি। তাতে বলা হয়েছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির মূল সনদ উপাচার্য এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত হতে হবে।

আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি চার বছর মেয়াদে প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি, এবং কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেবেন। তাই উক্ত পদে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া আইনের পরিপন্থী। রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত উপাচার্যের স্বাক্ষর ছাড়া সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হবে না।
 
উপাচার্য না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকা প্রকাশ করে তাদের সনদ দেয়ার আইনগত ভিত্তি নেই এমন ব্যাখ্যা দেয়া নিয়ে তীব্র বিরোধিতা দেখা দেয়। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করে।
 
কিন্তু গত ছয়মাসের অগ্রগতি সামান্য। এখনও ৩৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ ভিসি নেই। এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে বৈধ উপাচার্য নেই প্রায় ৪ বছর ধরে। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের সনদে সাক্ষর করছেন বর্তমান ভিসি, যিনি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত নন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উপাচার্য নিয়োগের জন্য প্যানেল পাঠানো হয়েছিল। একবার ফেরত এসেছে। আবার পাঠানো হয়েছে, তাও কয়েকমাস হলো। উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ইউজিসি বিলম্ব করছে দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিষ্ট্রার শাহ আলম।

শাহ আলম বলেন, এখানকার অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে যাচ্ছে। এছাড়া বিদেশের অনেক শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে কিন্তু কেউ স্থায়ী সনদ চাননি।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!