• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ


রংপুর প্রতিনিধি নভেম্বর ৩০, ২০১৬, ০৫:৪৬ পিএম
উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

রংপুর : টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. একেএম নূরুন্নবী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-১২ ফরিদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গত ২২ নভেম্বর এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিষয়টি কিছুদিন ধামাচাপা দিয়ে রাখলেও এখন তা জানাজানি হওয়ায় গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না উপাচার্য।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী মিলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। উপাচার্য নিয়ম উপেক্ষা করে তার বাড়িতে বসে দরপত্র গ্রহণ করেন এবং তার পছন্দের লোকদের কাজ দেয়ার মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় কৌশলে Orbital International Inc সহ বিতর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি দামে বই ক্রয় করেছেন। বাজারে যে বইয়ের মূল্য ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা সেই বই কেনা হয়েছে ৫০ হাজার টাকায়। নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ও উপাচার্য প্রফেসর ড. একেএম নূরুন্নবী এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জামায়াতে ইসলামীর আদর্শে বিশ্বাস করেন। এছাড়া উপাচার্য টিএ/ডিএ, আতিথেয়তা ভাতাসহ বিবিধ খরচের ব্যয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও উল্লেখ রয়েছে।

সূত্র জানায়, বর্তমান উপাচার্যের যোগদানের পর প্রথম সিন্ডিকেট সভার আতিথেয়তা বিল ছিল ৮ হাজার টাকা, কিন্তু গত সিন্ডিকেট সভায় সেই বিল দেখানো হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এই সভায়  অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৬ জন। এছাড়া অর্থ কমিটির সভার আতিথেয়তা বিল দেখানো হয় ২০ হাজার টাকা। এ সভায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা মাত্র ৮ জন।

সূত্র আরো জানায়, উপাচার্য ব্যক্তিগত কাজে দিনের পর দিন ঢাকায় থাকে, কিন্তু আতিথেয়তা বিল এবং টিএ/ডিএ বাবদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বাজেট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্নসাৎ করেছেন।

এছাড়া অভিযোগ আছে , উপাচার্য হিসেবে বিভাগের কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে এলোমেলোভাবে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে টাকা উত্তোলন করছেন। এ ক্ষেত্রে কোন কর্মকর্তা স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করলে উপাচার্য তাকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য নুরুন্নবী অন্যদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব হস্তান্তর না করে প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষসহ মোট ১০টি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়া ইন্সটিটিউশনও অকার্যকর হয়ে পড়েছে ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ইউজিসি উপাচার্যের দুর্নীতির বিষয়গুলো জেনেও অনিয়ম বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

আরো জানা গেছে, ২০১৭ সালের মে মাসে উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হবে। পুনরায় তিনি মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য জোর তদবির চালাচ্ছেন।

এসব বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. একেএম নুরুন্নবীর মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!