• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
ঋণের ব্যবহার তদারকি করতে হবে

ঋণ বিতরণে গাফিলতি পেলে শাস্তি


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৬, ২০১৮, ১২:৫৫ পিএম
ঋণ বিতরণে গাফিলতি পেলে শাস্তি

ঢাকা : ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা (ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন) পরিপালন করে চলতে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে ঋণ অনুমোদন, বিতরণ ও ব্যবহার যথাযথভাবে না করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৫ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।  

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এ-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা ঘোষণা করে। এতে নির্দেশনা অনুসরণ করে গ্রাহককে যে উদ্দেশ্যে ঋণ দেওয়া হয়েছে/হবে সে উদ্দেশ্যেই ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মিত মনিটরিং করতে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।  
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, নীতিমালার আওতায় ঋণগ্রহীতা নির্বাচন থেকে শুরু করে ঋণ বিতরণ পরবর্তী করণীয় নিয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উক্ত নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করলে গ্রাহককে যে উদ্দেশ্যে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে, সে খাতে ব্যবহার না হয়ে অন্যত্র ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ওই নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ঋণ নীতিমালা বাস্তবায়নে পরিচালনা পর্ষদ, ক্রেডিট কমিটি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বীয় দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পরিপালন না করলে গৃহীত ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় না।  

প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এমন পরিস্থিতিতে যে খাতে ঋণ দেওয়া হয়েছে বা হবে, সে উদ্দেশ্যেই ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নিয়মিত তদারকি করতে পুনরায় পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। বিশেষত, কিস্তিভিত্তিক প্রকল্প ঋণের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী কিস্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী কিস্তি ছাড়করণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কোনো ঋণের অর্থ উদ্দিষ্ট খাতের পরিবর্তে অন্যত্র ব্যবহার হলে ব্যাংককে তার কারণ উদঘাটনসহ তা রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা  দেওয়া যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনসাইট বা অফসাইট সুপারভিশনে ঋণ মঞ্জুরি, বিতরণ ও তদারকিতে যেকোনো ধরনের গাফিলতি বা যোগসাজশ পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যাংক-কোম্পানি আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে, কিছু কিছু ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বা ব্যক্তি ব্যাংক থেকে এক উদ্দেশ্যে ঋণ নিয়ে তা সেই কাজে ব্যবহার করছে না। ঋণ বের করে নিয়ে ভিন্ন উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ঋণ ফেরত পাওয়ার অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ঋণ আদায় করা যাচ্ছে না। ফলে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে, গত তিন মাসে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!