• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘ঋণের কিস্তির জন্য কৃষককে জোর করবেন না’


নেত্রকোণা প্রতিনিধি এপ্রিল ২৫, ২০১৭, ১০:২০ পিএম
‘ঋণের কিস্তির জন্য কৃষককে জোর করবেন না’

প্রতীকী ছবি

নেত্রকোণা: ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা এনজিওগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, অকালের বন্যায় হাওর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে ঋণের কিস্তি আদায় করবেন না।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার চিরাম তাহেরা মান্নান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে আছে সরকার। ফসল ঘরে না ওঠা পর্যন্ত কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

তিনি বলেন, হাওরের তিন লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে আগামী একশ দিন প্রতি মাসে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি চাল ও নগদ পাঁচশ টাকা করে দেয়া হবে। এজন্য ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মায়া বলেন, হাওরাঞ্চলের সমস্যা চিহ্নিতকরণসহ ভবিষ্যতে যা করণীয় তা এ সরকার করবে। আগামী মৌসুমের শুরুতে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার ও কীটনাশক দেয়া হবে।

তিনি বলেন, কৃষকরা ঘরে ধান তুলতে পারলে সেই ধান বিক্রি করে বিদ্যুৎ বিল দিত। কিন্তু ধান সব পানিতে তলিয়ে গেছে, বিল দেবে কোথা থেকে? আগামী এক বছর এদের (হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক) বিদ্যুৎ বিলের জন্য কোনো রকম চাপ না দিতে পল্লী বিদ্যুৎ ও পিডিবিকে অনুরোধ জানান ত্রানমন্ত্রী।

মায়া বলেন, আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আগামী এক বছর যেন হাওর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিদ্যুৎ বিল দিতে না হয় সে বিষয়ে তাকে অনুরোধ করবো।

এসময় নেত্রকোণার সংসদ সদস্য আরিফ খান জয় ত্রাণ নিতে আসা কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আগামী একবছর এনজিওর ‍ঋণের কিস্তি দেবেন না।

এর আগে সকালে বারহাট্টা উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও সরকার দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন মন্ত্রী।

নেত্রকোণা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিলাস চন্দ্র পাল জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রায় ৭৪ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে ৬৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অন্তত এক লাখ ৪০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে হাওর এলাকার ৪০ হাজার হেক্টর জমির পুরো বোরো ফসলই নষ্ট হয়েছে। এখনও বর্ষণ চলছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে জেলার বিল এলাকাসহ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে আরো ফসলহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মুশফিকুর রহমান জানান, সোমবার (২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের বরাদ্দের ৩৫৫ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ২৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!