ঢাকা: বহুকাল থেকেই দেহ দান করার রীতি চলে আসছে। পরিণত বয়সের মানুষেরা সাধারণত দেহ দান করেন। এতোদিন এমন কথা শোনা গেলেও এবার শোনা গেল ভিন্ন কথা।
মাত্র ১৩ বছরের এক কন্যা সন্তানের দেহ দান করেছেন এক পিতামাতা। তার মৃত্যুর পর তারা সেই দেহ দান করেন। নিজের সন্তানকে আগুনে পোড়ানোর দৃশ্য দেখতে পাবেন না বলেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হাওড়ার শিবপুরে।
জানা গেছে, ওই এলাকার বাসিন্দা সুবীর চক্রবর্তীর একমাত্র মেয়ে ছিল সৃজা। সৃজা দুরারোগ এক রোগে আক্রান্ত হয়। বৃহস্পতিবার পার্ক সার্কাসের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় সৃজার।
মেয়ের মৃত্যুর পর বাবা লাশকে পোড়াতে নিষেধ করলেন। তিনি জানালেন, তার মেয়ের লাশ তিনি দান করতে চান। তার কথা অনুযায়ী চিকিৎসকরা আসলেন। মেয়ের ত্বকের অংশ (চমড়া) সংরক্ষণ করলেন তারা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সৃজার ত্বকের অংশ কোন আগুনে পোড়া কোন রোগীর শরীরে বসানো হবে। এছাড়াও তার দেহটি চিকিৎসা পড়–য়া শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে।
সুবীর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিনি অনেকদিন ধরেই আগুনে পোড়ানো প্রথা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছিলেন। আর নিজের মেয়ের দেহ দান করার মাধ্যমে সেই কষ্ট থেকে মুক্তির পথ বের করলেন।
সোনালী নিউজ/ঢাকা/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :