• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এই হাসি মাখা মুখে এখন শুধুই অন্ধকার


নিউজ ডেস্ক জুন ৩, ২০১৭, ০৬:৩৮ পিএম
এই হাসি মাখা মুখে এখন শুধুই অন্ধকার

ঢাকা: বিয়ের এক সপ্তাহ পর স্বামীর সঙ্গে মালয়েশিয়ায় চলে আসেন তুলি। ওইদিনই তুলিকে একা ফেলে অন্য এক শহরে চলে যান কামাল। কাপড় গোছাতে গিয়ে তুলি দেখতে পান আলমারিতে মেয়ের দুইটা ড্রেস। দুইদিন পর বাসায় ফিরলে মেয়ের ড্রেসের ব্যাপারে কামাল জানান, এক মালয় মেয়েকে তিনি বিয়ে করেছেন। সেদিন থেকেই তুলি বুঝতে পারেন তার জীবনে নেমে এসেছে নতুন ঝড়।

ঢাকার দক্ষিণ খানের (রাজলক্ষ্মী মুন্সি মার্কেট) জলিল মোল্লার ছেলে মো. মোস্তফা কামালের সঙ্গে ২০১৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মুন্সিগঞ্জের ফুলতলার আমিনুল হকের মেয়ে তুলি (২০)।

তুলি গণমাধ্যমকে জানান, তার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন, শুরু হয় অত্যাচার। এর মধ্যে তার স্বামী কামাল দেশে চলে যায়। তুলির বাবাও যৌতুক দেয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা ম্যানেজ করেন। কিন্তু একমাত্র মেয়ের অত্যাচারের কথা সইতে না পেরে স্ট্রোক করে হাসপাতালেই মারা যান তিনি।

এরপর থেকেই নানাভাবে অত্যাচার শুরু হয় তুলির ওপর। কামাল তাকে গলা টিপেও ধরেছিল কয়েকবার। মালয়েশিয়ার দুটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে তাকে। একপর্যায়ে কামাল তুলিকে ডিভোর্স দিয়ে দেশে চলে যেতে বলেন, না গেলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।

কোনো উপায় না পেয়ে অন্য বাংলাদেশিদের আশ্রয়ে যান তুলি। তাদের মাধ্যমে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সবযোগিতায় আইনের আশ্রয় নেন তুলি। ইতোমধ্যে একটি থানাতে ও আকামা ইসলামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এসব প্রসঙ্গে তুলি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর সময় তার পাশে থাকতে পারিনি। কামালকে এমন শাস্তি দেয়া হোক যাতে আর কোনো মেয়েকে তার স্বামীর লোভের শিকার না হতে হয়।

কিন্তু এরই মধ্যে তুলির জীবনে নেমে এলো আরও বড় ঝড়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না, আর টিকিট কেটে দেশে ফিরেও যেতে পারছেন না। তার এ দূরবস্থায় কোনো হৃদয়বান ব্যক্তির সহযোগিতার প্রত্যাশা করছেন তুলি। এ বিষয়ে মোস্তাফা কামালের মোবাইল ফোনে একাধিকবার করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!