• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক পোস্টারে সব প্রার্থীর প্রতীক রাখার পক্ষে আ. লীগ


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১০, ২০১৭, ০৭:০৮ পিএম
এক পোস্টারে সব প্রার্থীর প্রতীক রাখার পক্ষে আ. লীগ

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিটি আসনে অংশ নেয়া দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য একটি মাত্র পোস্টার ব্যবহারের প্রস্তাব আসতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা।

১৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী আইন সংস্কারবিষয়ক সংলাপে আওয়ামী লীগের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের বেশির ভাগ আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি আসনে সব প্রার্থীর জন্য একটিমাত্র পোস্টার করার পক্ষে বলে জানা গেছে। প্রস্তাবটি গৃহীত হলে সংসদের ৩০০ আসনের প্রতিটিতে একটি করে পোস্টার ছাপা হবে। সেখানে সব দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নাম, ছবি ও প্রতীক থাকবে। নির্বাচন কমিশন পোস্টার ছাপানোর কাজ ও খরচ করবে। অর্থাৎ ৩০০ আসনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ৩০০ ধরনের পোস্টার ছাপতে হবে। 

জানা যায়, পুরো প্রস্তাবের বিষয়ে দলের একাধিক নেতার আপত্তিও আছে। একই সঙ্গে প্রস্তাবটি গ্রহণের ক্ষেত্রে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার মতামতকেও গুরুত্ব দেয়া হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, সব নির্বাচনেই পোস্টার লাগানো নিয়ে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের সমর্থকদের মারামারি-হানাহানির ঘটনা ঘটে। অনেক প্রার্থী পোস্টার ছাপানো ও সাঁটানো শর্তাবলি মানেন না। এ কারণে নির্বাচনের মাঠপর্যায়ে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। তা ছাড়া প্রার্থীদের অনেক টাকারও অপচয় হয়। সে জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আসনওয়ারি একটিমাত্র পোস্টার ছাপানোর প্রস্তাব দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।

সংলাপে আওয়ামী লীগ সংবিধানের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা, নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস না করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে সেনাবাহিনীর নাম আইনে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়কে গুরুত্ব দেবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রস্তাবটি খুবই ভালো। কিন্তু এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে সংসদসহ সব ধরনের নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার কমিশনকে বহন করতে হবে। শুধু পোস্টার নয়, দলীয় সভা-সমাবেশও এক মঞ্চে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। মাইকে প্রচার চালানো এবং রেডিও-টেলিভিশনসহ সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রেও কর্তৃত্ব কমিশনের হাতে নিতে হবে। সে জন্য কমিশনের যে ধরনের প্রস্তুতি ও জনবল থাকার দরকার, তা আছে বলে মনে হয় না। 

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!