• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এক যুগেও চালু হয়নি স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক পাঁচ সরকারি প্রতিষ্ঠান


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানুয়ারি ২৫, ২০১৮, ০৬:৩৩ পিএম
এক যুগেও চালু হয়নি স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক পাঁচ সরকারি প্রতিষ্ঠান

ঝিনাইদহ : জেলা শহরে স্থাপিত স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক ৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠান পড়ে আছে প্রায় এক যুগ ধরে। এসব প্রতিষ্ঠানের সুরম্য ভবন নির্মাণ ও মূল্যবান যন্ত্রাংশ কেনা হলেও নেই কেবল কর্মকর্তা-কর্মচারী। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় ইতিমধ্যে ভবনের জানালা দরজা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২০০৪ সালের দিকে ঝিনাইদহ জেলা শহরে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক ৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। তৎকালীন বিএনপি সরকারের সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মো. মসিউর রহমান এসব প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু তারপরে যেসব জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে এসেছেন তারা চেষ্টা করেও এই প্রতিষ্ঠানগুলো চালু করতে পারেনি।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এসব প্রতিষ্ঠান চালু করতে মন্ত্রী ও সচিবালয়ে ঘুরেছেন, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। ঝিনাইদহ গণপূর্ত ও হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের ধান হাড়িয়া মৌজায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু হাসপাতালটি চালু করা যায়নি ১২ বছরেও। ফলে সদর হাসপাতালে শিশু রোগীদের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু হাসপাতালটি চালু না হওয়ার পেছনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও জনপ্রতিনিধিদের গাফলতিকে দায়ী করছেন জেলার সাধারণ মানুষ।

ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ায় ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রতিবন্ধী স্কুল, ধানহাড়িয়ায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, হাসপাতাল চত্বরে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে করণারী কেয়ার ইউনিট ও পুরাতন হাসপাতাল চত্বরে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে খাবার স্যালাইন ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলেও আজও আলোর মুখ দেখিনি। কবে চালু হবে কিংবা আদৌ চালু করা সম্ভব কিনা তা অনিশ্চিত। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একমাত্র শহরের চাকলাপাড়ায় স্থাপতি ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজী চালু করা হলেও প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে জমি না পাওয়ায় ট্রমা হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি বাতিল হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে সরকারি পরিসেবা দপ্তরগুলো এসব স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান চালু করতে ব্যর্থ হয়েছে। ঝিনাইদহ বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. দুলাল চক্রবর্তী জানান, স্থাপিত এসব প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক হলেও জেলার মানুষের কল্যাণে কাজ করতো।

তিনি বলেন, নানান জটিলতার কারণে এসব প্রতিষ্ঠান চালু করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে পোস্ট ক্রিয়েট ও বেতন কোড সংক্রান্ত জটিলতা। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, এসব প্রতিষ্ঠান চালু করতে আমরা প্রতিনিয়ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে যোগাযোগ রাখছি। তিনি বলেন, খুব দ্রুতই শিশু হাসপাতালটি আমরা চালু করতে পারব। এ নিয়ে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!