• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

একক প্রার্থী চায় আ.লীগের তৃণমূল


সোনালী বিশেষ অক্টোবর ২৪, ২০১৭, ০৪:০৮ পিএম
একক প্রার্থী চায় আ.লীগের তৃণমূল

ঢাকা : আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) এক বছর পূর্তি হল। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এই এক বছরের পথচলাকে তৃণমূল নেতারা মোটামুটিভাবে সফল বললেও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়াকে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন। দলকে তারা আরো সুসংগঠিত করার কথা বলেন।

তৃণমূলের নেতারা দলের কর্মকাণ্ড, নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে বলেন, দলের অনেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিটি সংসদীয় আসনে নৌকার একাধিক প্রার্থী যাতে না থাকে সে বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দলকে তৈরি এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর বিশৃঙ্খল তৎপরতার লাগাম টেনে ধরার কথা বলেন।

২০১৬ সালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন হয়। এতে অষ্টমবারের মতো আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দলের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। আর প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে হন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের।

কাউন্সিলে পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব অর্পণের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা যে গুরুত্বদায়িত্ব আমার ওপর আবারও অর্পণ করলেন, তা আমি বহন করব। ৩৫ বছর একটা দলের সভাপতি, তবে একটা সময় আমাকে বিদায় নিতে হবে। আর এখন থেকেই আগামী নির্বাচনের জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হয়ে যাতে দেশবাসীর সেবা করতে পারি সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব।

এরপর সম্মেলনে আগামী তিন বছরের জন্য কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতিমন্ডলীর ১৯টি পদের মধ্যে ১৬টি এবং ৪টি যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ পদের নাম ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে কয়েকধাপে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহীর দুইজন সদস্য এবং সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অবশিষ্ট রেখে কমিটি ঘোষণা করা হয়। জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পরিধি বাড়িয়ে ৮১ করা হয়।

গত এক বছরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড বিশ্লেষণে তৃণমূলের নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি একটি গতিশীল কমিটি। নবীণ-প্রবীণের সমন্বয় করে নেত্রী দলের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে এই কমিটি উপহার দিয়েছেন। এই কমিটির অধিকাংশ নেতাই বয়সে তরুণ। নেতারা নেত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

দলে ইতোমধ্যে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি সংসদীয় আসনে নৌকার একাধিক প্রার্থীর বলয় গড়ে উঠেছে। অনেকে প্রচার কাজে নেমে পড়েছেন। এতে গ্রুপিং ও কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আবার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে বলয় গড়ে তুলেছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বর্তমান কমিটিকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃঞ্চ দে মূল্যায়নে বলেন, কমিটির কর্মকান্ড সন্তোষজনকভাবে চলছে। আমাদের বিভিন্ন জেলায় অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আছে সেগুলো নিরসন করা জরুরি যাতে আগামী নির্বাচনে আমাদের মধ্যে কোন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে। এটাই হল এখন আমাদের মূল সমস্যা। আরেকটি হচ্ছে, ছাত্রলীগের রাজনীতিকে আরো নিয়ন্ত্রণ করা। যেহেতু কাদের ভাই সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন, এটাও ওনার একটা দায়িত্ব। ছাত্রলীগের কিছু কর্মকা- আমাদের দলের জন্য ক্ষতি করছে। তাই তাদের নিয়ন্ত্রণ এবং ছাত্রলীগকে আরো সৃজনশীল ও গঠনমূলক রাজনীতি করতে হবে।

ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার রায় বলেন, নতুন কমিটি ভাল। কাজও ভাল করছে। সেক্রোটরি সাহেবের এ্যাকটিভিটি ভাল এবং গতিশীল।  গত জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মিশন-ভিশন বাস্তবায়নে এই কমিটিকে আরো বেশী গতিশীল হওয়া উচিত কি না, এমন মূল্যায়নে তিনি বলেন, এখনো তো অনেক সময় বাকি। তবে পরবর্তীতে মাঠ পর্যায়ে (তৃণমূল) প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে মিটিং হলে ভাল হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!